সারাদেশে শুরু হয়েছে ১৭ আগস্ট থেকে উচ্চমাধ্যমিকও সমমানের পরীক্ষা। যশোর বোর্ডের অধীন ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকারের উদ্দেশ্য পরীক্ষার্থীরা যাতে অসদুপায় অবলম্বনের জন্য অনুকূল পরিবেশ না পায়। কিন্তু বারোবাজার ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচীব ইয়ামিনুর রহমান পরীক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় না রেখেই পরীক্ষা নিচ্ছেন। এ কেন্দ্রে ৪ টি কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে, কিন্তু কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষার্থীরা ৪ টি রুমে একক ভাবে পরীক্ষা দিচ্ছে। এ ৪ রুমে অন্য কোন কলেজের শিক্ষার্থীরা নাই। শিক্ষা বিভাগের নিয়ম মোতাবেক জেড বা আই পদ্ধতিতে আসন বিন্যাস করে শিক্ষার্থীদের বসানোর কথা। কিন্তু ৪ টি রুমে শুধু মাত্র কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। এ কেন্দ্রে এবার ৫৫৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। এ ৪ রুমে শিক্ষার্থীরা এক অপরের সহযোগিতা নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের হাতে ঘড়ি লাগিয়ে কক্ষে প্রবেশ করা নিষেধ থাকলে,প্রতিটি পরীক্ষার্থী হাতে ঘড়ি পরে পরীক্ষা দিচ্ছে। যা কক্ষ পরিদর্শকরা কোন কিছুই বলছেন না।
সক্রিয় সহযোগিতা নিয়ে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছেন এবং অন্যান্য কেন্দ্র থেকে এ কেন্দ্রের ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। যা নিয়ে অন্যান্ন কেন্দ্রের পরীক্ষার কমিটির সদস্যরা বিষয়টি ভিন্ন ভাবে দেখছেন। এ কেন্দ্রে ৫৫৬ জন পরীক্ষার্থী ১১ টি রুমে পরীক্ষা দিচ্ছে।
বারোবাজার ডিগ্রী কলেজ এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচীব ইয়ামিনুর রহমান বলেন, জেড বা আই পদ্ধতিতে সিট মিলাতে না পারার কারণে তিনি এসব রুমে একই কলেজের পরীক্ষার্থীদের বসিয়ে পরীক্ষা নিচ্ছেন।