নিত্যপণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি বিপাকে ফেলেছে চরমভাবে। একটির দাম কিছুটা কমলে বাড়তে থাকে অন্যটির দাম। চলতি সপ্তাহে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে ডিমের বাজারে। তবে অস্বস্তি বিরাজ করছে মাছ ও সবজির বাজারে। আমদানি হলেও এখনো চড়া পেঁয়াজের বাজার। দেশি রসুন ও ডালের দামও তুলনামূলক বেশি, ডিমের পাইকারি বাজার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও খুচরায় দাম সেভাবে কমেনি। নামমাত্র কিছুটা কমিয়ে ডিম বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গত মাসে বন্যা হওয়ায় দেশে পেঁয়াজের আমদানি কমে যায়। এতে বাজারে সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়ায় বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে সরবরাহের কোনো ঘটতি না থাকলেও অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে রসুনের। বিক্রেতারা বলছেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে ঢাকার বাজারগুলোতে পণ্য সরবরাহ কম। তাতে সবজি ও মাছের দাম বেশ বেড়ে গেছে। এদিকে কাঁচা মরিচ ও টমেটোর বাজারের অস্থিরতা এখনো কাটেনি। অন্যান্য সবজির মতো নতুন করে আবারও আলুর দাম বাড়ছে। তবে চিনির সংকট দিন দিন আরও গভীর হচ্ছে এবং সবজির বাজারে দামের দাপটে সবচেয়ে এগিয়ে আছে কাঁচা মরিচ। ঈদের আগে থেকে কাঁচা মরিচের দাম বাড়তে থাকলেও ঈদের ছুটিতে রীতিমতো তেতে ওঠে। কেজি ৭০০ টাকা পর্যন্ত দাম উঠলেও এখন কিছুটা কমেছে। তবু এক কেজি কাঁচা মরিচ কিনতে গেলে ক্রেতাদের খরচ করতে হবে নূন্যতম ৪০০ টাকা। মানভেদে ৪৫০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ মোটাদাগে বাজারে ক্রেতাদের জন্য সুখবর নেই। বাজারে সব ধরনের সবজি আছে। কিন্তু দাম অনেক বেশি। বিক্রেতারা বাড়তি দরে বিক্রি করছেন। কেনার উপায় নেই। বাজারে যদি সংকট থাকত, তা হলে মানা যেত। কিন্তু সংকট নেই। দাম বেশি। তাই আমাদের মতো সাধারণ মানুষের সবজি কিনতেও কষ্ট হচ্ছে। যেখানে মানুষের নুন আনতে পানতা ফুরায়। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে হুটহাট দাম বাড়ছে। তাই সরকার ও সংশ্লিষ্টদের বাজার সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে। এসব সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে না পাড়লে কোনোভাবেই নিত্যপণ্যের দাম কমানো সম্ভব হবে না। এ ক্ষেত্রে আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে এ অসাধু চক্রকে বাজার কারসাজিতে নিরুৎসাহিত করতে হবে।