বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার। রোববার (২০ আগস্ট) থেকে এই নতুন শুল্ক কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। এতে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
শনিবার রাতে ভারত সরকারের ডেপুটি সেক্রেটারি অমরিতা তিতুস স্বাক্ষরিত এক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে এই শুল্ক আরোপের বিষয়টি জানানো হয়। রোববার থেকেই শুরু হয়ে এই শুল্ক আরোপ চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
রোববার হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শনিবার যে ইন্দো খারাপ মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা আজ সেই পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর নাসিক পেঁয়াজ গকতাল শনিবার ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে আজ সেই পেঁয়াজ ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক রাতের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ জানান,শনিবার রাত সোয়া ৮ টার দিকে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা একটি নোটিফিকেশন পাঠিয়েছেন। তাতে জানানো হয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত সরকার ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছে।এতদিন শুল্কমুক্ত পণ্য হিসেবে রপ্তানি হলেও রোববার থেকেই নতুন এই শুল্ক পরিশোধ করে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে হবে। নতুন এই শুল্ক আরোপের ফলে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
পূর্বের এলসি করা পেঁয়াজ শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৪১টি ট্রাকে এক হাজার ২০৬ টন, রোববার ৭ টি ট্রাকে ২১১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।