ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্কায়ন নির্ধারন করার পর নতুন শুল্কায়নে এক দিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এক হাজার ৭৯১ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
আমদানিকাকরা জানান,ভারত সরকারের ৪০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করার পর সোমবার (২১ আগস্ট) থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ৫৯ ভারতীয় ট্রাকে ১ হাজার ৭৯১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান,আমদানি মূল্য বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা।
খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের বলেন,গত রোববার আগের এলসির আমদানি করা পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে কিনে খুচরা ৪০ থেকে ৪৫ করে বিক্রি করি। আর সোমবার ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানিতে নতুন শুল্ক আরোপ করা পেঁয়াজের দাম পাইকারি বাজারেই বেশী।
তিনি আরও বলেন,গতকাল নতুন এলসির পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে প্রকার ভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। আর আজ বিক্রি করছি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।
পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন,সম্প্রতি ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় রপ্তানিতে নিরুৎসাহিত করতে সে দেশের সরকার গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট) পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্কায়ন আরোপ করে। সেই মোতাবেক রোববার থেকে নতুন শুল্কায়নে এলসি খোলা হয়। এর একদিন পর সোমবার (২১ আগস্ট) থেকে নতুন শুল্কায়নের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন,নতুন শুল্কায়নে প্রতিকেজি পেঁয়াজ আগের তুলনায় আমদানি মূল্য ৫ থেকে ৬ টাকা বেশি পড়ছে। তার সঙ্গে আছে পরিবহন খরচ, বাংলাদেশের কাস্টমস শুল্কসহ অন্যান্য খরচ।
শহিদুল ইসলাম আরও বলেন,মঙ্গলবার হিলি স্থলবন্দরে পাইকারি বাজারে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর স্থানীয় খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।
পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিডেটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাব জানান,ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নতুন করে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর সোমবার প্রথমদিনে ৫৯টি ভারতীয় ট্রাকে ১ হাজার ৭৯১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আজও (মঙ্গলবার) পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত আছে।