কুড়িগ্রামে নারী ও নির্যাতন মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক এস. এম. নূরুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
তবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি মো: জাহাঙ্গীর আলম, পিতা-মো: আ: গণি সর্দার, সাং-ভরতপুর, পোস্ট-খানপুর, থানা-মনিরামপুর, জেলা-যশোর পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে রায় প্রদান করা হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোটে আবদুর রাজ্জাক জানান, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার উত্তর তিলাই গ্রামে লজিং থেকে যশোর জেলার মো: জাহাঙ্গীর আলম কুরআন শিক্ষা দিয়ে আসছিল। এমতাবস্থায় সেখানকার এক কিশোরীকে বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে ০২.০৪.২০২৫ তারিখে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় ও ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে কিশোরীর মা বাদী হয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় ০৫.০৪.২০১৫ তারিখে মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে মামলাটি নারী ও শিশু আদালতের অন্তর্ভূক্ত হয় যা নারী ও শিশু মামলা নং ১৬০/২০১৫। এর পরে কিশোরী উদ্ধার হয়ে আদালতে তাকে অপহরণ ও ধর্ষণ করার সাক্ষ্য দেয়। ঘটনার দিন থেকে আসামি পলাতক থাকায় ২৯.০১.২০২৩ এ শুনানি শেষ হয়। পরে আদালত আসামীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগসমূহ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী-২০২৩) এর ৭ ধারায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদ- ও ৫০০০টাকা জরিমানা অনাদায়ে ০৩ (তিন) মাসের বিনাশ্রম কারাদ- ও একই আইনের ৯ (১) ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও ১০,০০০ (দশ হাজার)টাকা জরিমানা অনাদায়ে ০৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদ-ে দন্ডিত করে রায় প্রদান করেন।
আসামী পলাতক থাকায় তারপক্ষে রাষ্ট্র পক্ষ নিয্ক্তু অ্যাডভোকেট সরদার মো: তাজুল ইসলাম ও রাষ্ট্র পক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক মামলাটি পরিচালনা করেন।