স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি ও সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপিকে অভিযুক্ত করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) পরিচালক হুমায়ুন কবির।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ বক্তব্য দেওয়ার সময় উপস্থিত অতিথি ও শ্রোতারা বিব্রতকর অবস্থায় পরেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পরিচালক হুমায়ুন কবিরকে একাধিবার থামানোর চেষ্টা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন। পরবর্তীতে আলোচনা সভা শেষে ওই বক্তব্য নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। গত দুইদিন থেকে এনিয়ে বরিশালে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্রে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সূত্রমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দ দাশ হলরুমে সোমবার (২১ আগস্ট) এ সভার আয়োজন করে কর্মকর্তা পরিষদ। এতে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক হুমায়ুন কবির তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের ভেতরে মোশতাকরা এখনও আছে। এই মোশতাকদের চিহ্নিত করুন। ১৫ আগস্ট রক্ষীবাহিনীর প্রধান কে ছিল আপনারা কি জানেন? তোফায়েল আহমেদ। এখন তিনি বলেন, আমি ছিলাম না। হত্যার পর বরিশালে উৎসব করেছিল আ স ম ফিরোজ।’
সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তারা জানান, এ বক্তব্যের সময় মঞ্চে বসা ববি’র উপাচার্য কয়েক বার এ ধরনের বক্তব্য দিতে নিষেধ করেন। সভার শেষপর্যায়ে ওই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ শাখা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের সাথে পরিচালক হুমায়ুন কবিরের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। সূত্রে আরও জানা গেছে, পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের সাতবার নির্বাচিত এমপি আ স ম ফিরোজ। হুমায়ুন কবিরের বাড়িও বাউফলে। সংগঠনের সভাপতি বাহাউদ্দিন গোলাপের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপাচার্য ছাড়াও আ স ম ফিরোজের জামাতা উপাচার্যের প্রটোকল কর্মকর্তা দিদার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পরিচালক হুমায়ুন কবির বক্তব্যে তিনিও বিব্রতকর অবস্থায় পরেন।
বুধবার দুপুরে শিক্ষক সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, হুমায়ুন কবিরের বক্তব্য স্পর্শকাতর। গত দুইদিন থেকে এনিয়ে সর্বত্র ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। তবে হুমায়ুন কবির সম্প্রতি ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই পরিচালক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। তানিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।