পিরোজপুরে ভুল চিকিৎসায় ফাতেমা বেগম (২৫) এক প্রসূতি নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে পচন ধরেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নষ্ট হয়ে গেছে চোখ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল মাওয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রসুলের আদালতে মামলাটি করেন ওই নারীর স্বামী দিনমজুর হযরত আলী। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বিষয়টি পিরোজপুরের সিভিল সার্জনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম পিরোজপুর পৌরসভার পশ্চিম শিকারপুর এলাকার বাসিন্দা। বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু সালেহ ওমান জানান, ফাতেমা বেগমকে বাচ্চা প্রসবের পর ভুল চিকিৎসা করে ওভার ডোজ ওষুধ দেওয়ায় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পচন ধরেছে। চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। এমন অভিযোগে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল মাওয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ফাতেমার স্বামী হযরত আলী। চলতি বছরের ৩১ শে মার্চ মুসলিম এইড কমিউনিটি হাসপাতালে ডা. জান্নাতুল মাওয়া ভিকটিম ফাতেমার সিজার করেন। পরবর্তীতে ওষুধ দেন। ওই ওষুধ সেবনের পর থেকে ফাতেমার মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে উঠে পচন ধরে। মুখমন্ডল ও চোখের পর্দা ফুটো হয়ে যায়। বারবার ডা. জান্নাতুল মাওয়ার কাছে গেলেও তিনি কোনো রকম সেবা না দিয়ে ঢাকায় রেফার্ড করে দেন। ডা. জান্নাতুল মাওয়ার অপচিকিৎসা ও অবহেলা রোগীর জীবন হুমকিতে ফেলেছে। মামলার বাদী হযরত আলী বলেন, বাচ্চা প্রসবের আগে ও পরে রোগী ডা. জান্নাতুল মাওয়ার তত্ত্বাবধানে ছিল। ভুল চিকিৎসা, অতিরিক্ত ওষুধ প্রদান ও অবহেলায় রোগীর অবস্থা মৃত্যুপ্রায়। তার মুখমন্ডলে পচন ধরেছে। চোখের পাতা ছিদ্র হয়ে গেছে। রোগীকে শেষ পর্যায়ে তিনি রেফার্ড করেছেন। আমরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করেও আজ ব্যর্থ। তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম এখন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন। তাই অপচিকিৎসার বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেছি। তবে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল মাওয়া বলেন, তার চিকিৎসায় কোনো ভুল ছিল না। রোগীর ওষুধের সকল কাগজপত্র দেখে বিস্তারিত জানাতে পারবো।