নারী, পুরুষ,আবাল বৃদ্ধ বৃদ্ধা শিশু ওরা সবাই মৌসুমি শ্রমিক। বছরের যে সময় মাঠে কাজ থাকে, তখন ওরা পুরুষের পাশাপাশি শ্রম বেঁচে আয়-রোজগার করেন। কাজ না থাকলে তারা বেকার, অলস বসে থাকেন। সংসারের টানাপোড়েনে হা-পিত্যেশ করেন। স্কুল খোলা থাকলে ছাত্রীরা ক্লাস শেষে কাজে যোগ দেয়। বয়োবৃদ্ধ মহিলাদের মাঝে অনেকেই বিধবা। অনেক মহিলার শরীর শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। তারপরও জীবিকার তাগিদে দূর্বল হাতেই বসে কাজ করেন তারা। নেছারমাই তাদের মধ্যে একজন। তিনি পীরগঞ্জ উপজেলার ডাসারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড়দরগাহ ইউনিয়নের ডাসারপাড়া, পার্বতীপুর, গুর্জিপাড়া, কাউয়াপুকুর, রানাথপুর ইউনিয়নের সয়েকপুর, আব্দুল্যাপুর, রাজারামপুর, ছ্টো ঘোলা, বড় ঘোলাসহ কয়েকটি গ্রামে প্রতিটিই চাষীই ফি বছর কচু চাষ করেন। এসব এলাকায় একরের পর একর কচুর আবাদ হয়ে থাকে। মুলত চাষীরা এসব জমিতে আলু আবাদের পর কচুর আবাদ করেন। কচু তুলে নিয়েই আবার ওই জমিতেই আমন ধানের চাষ করেন। রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে পীরগঞ্জের বড়দরগাহ ইউনিয়নের বিশমাইল নামকস্থানে ৩ টি জায়গায় টীনের ছাউনির নীচে বছরের পর বছর ধরে কচু পরিষ্কার করছেন মৌসুমি শ্রমিকরা। রামনাথপুর ইউনিয়নের বর্নিত গ্রামগুলো ছাড়াও অন্যান্য গ্রামে যে যেখানে পারেন কচু পরিস্কার করেন। গ্রামে তারা প্রতি মন কচু পরিষ্কার করে ৬০ থেকে ৭০ টাকা মজুরি পান। একজন সারাদিনে মাত্র এক থেকে দেড় মন কচু পরিষ্কার করতে পারেন বলে জানান। আলুর মৌসুমে আলু তোলেন। সারাদিন আলু তুলে দিয়ে ৫ থেকে ৮ কেজি হিসেবে পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। এভাবে যা পান তা দিয়েই এদের ভাঙ্গা সংসার চলে যায়।