আজ ২৬ আগস্ট ফুলবাড়ী ট্র্যাজেডি দিবস। ২০০৬ সালের এই দিনে এশিয়া এনার্জির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘিরে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত হয় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী। দেশের সম্পদ রক্ষার এই আন্দোলনে সেদিন বিডিআরের গুলিতে তরিকুল, আমিন ও সালেকিন নিহত এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হন। প্রতিবছর এই দিনটিকে ফুলবাড়ী ট্র্যাজেডি দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
ফুলবাড়ী দিবসে শনিবার সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দিনব্যাপী শ্রদ্ধা নিবেদন, সভা ও সমাবেশের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, জাতীয় সম্পদ রক্ষা আন্দোলনে এটি অনন্য দিন। সেদিন দেশের কয়লা সম্পদ রক্ষায় লাখো কণ্ঠে ধ্বনিত হয়, ‘উন্মুক্ত না, বিদেশি না, রপ্তানি না।
এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণের রায় ঘোষিত হয়, গ্যাস, তেল, কয়লাসহ সব সম্পদের ওপর জনগণের শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত করে তা জনস্বার্থে ব্যবহার করতে হবে। দেশি-বিদেশি কমিশনভোগীদের দেশ থেকে বিতাড়িত করে জাতীয় সম্পদ রক্ষা করতে হবে।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অভ্যুত্থানের ১৭ বছর পেরিয়ে গেলেও ফুলবাড়ী চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। এশিয়া এনার্জি নানাভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের ষড়যন্ত্র থামেনি। দেশের সমুদ্রের গ্যাস সম্পদ অসম চুক্তিতে সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক কম্পানিকে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। চট্টগ্রাম বন্দর বেসরকারি মালিকানায় দিয়ে লুটপাটের আয়োজন চলছে। সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদেশি আধিপত্যবাদী শক্তির তৎপরতা এসব ক্ষেত্রে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।