সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে আঞ্চলিক সড়কের একটি কালভার্টের মুখ বন্ধ করে জমিতে মাটি ভরাট করে দোকান তৈরী করছেন স্থানীয় সোলাইমান হোসেন নামে এক বাসিন্দা। এতে প্রায় দুই শতাধিক আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্ঠি হয়েছে। বিপাকে পড়েছে কৃষকেরা। এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অভিযুক্ত সোলেমান হোসেন উপজেলার রৌহা গ্রামের মৃত তছের আলী হাজীর ছেলে। স্থানীয়রা বলছেন তিনি তার লোকবল নিয়ে সরকারি রাস্তায় সরকারী অর্থায়নে নির্মান করা কালবার্টের মুখ বন্ধ করে দিয়ে রাস্তার জায়গায় মাটি ভরাট করে দোকান নির্মান করছেন।স্থানীয় বাসিন্দা ও মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা রহিচ উদ্দিন জয়নালের ছেলে লিটন হোসেন জানান, কালভার্ট দিয়ে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন না হলে ওই এলাকার প্রায় দুইচত বিঘা জমির ফসল নষ্ট হবে। স্থানীয় লোকজন ও কৃষকরা জানন, রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের বাশুড়িয়া বাজার থেকে গ্রাম সোনাই রাস্তার ওপর একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। ওই কালভার্টের নিচ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে বিস্তীর্ণ এলাকার পানি নিষ্কাশন হতো। কালভার্ট নির্মাণের আগেও ওইস্থান দিয়ে খালের দিকে পানি নেমে যেত। হঠাৎ চলতি বর্ষা মৌসুমে কালভার্টের মুখে মাটি দিয়ে বাঁধ দেন সোলাইমান হোসেন গংরা।সম্প্রতি বৃষ্টিপাতের কারণে এলাকাজুড়ে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে যায় প্রায় দুইশ বিঘার আমন ধান।ক্ষতিগ্রস্তরা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করেও তেমন কোন ফল পাঁচ্ছেন না। কালভার্টের মুখ বন্ধ করে মাটি ভরাট করে দোকান নির্মান করছে সোলাইমান হোসেন ও তার সহযোগীরা। এতে স্থানীয় লোকজন এবং কৃষকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। আসছে বর্ষা মৌসুমে পুনরায় জলাবদ্ধতাসহ ফসলহানির শঙ্কা করছেন তারা। কৃষক রহম আলী খাঁন বলেন, সোলাইমান হোসেন কালভার্টের মুখ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে আমরা জলাবদ্ধতাসহ ফসলহানির শঙ্কায় রয়েছি। সরকার দেশে ফসল উৎপাদনে ভূমিকা রাখছে, আর তিনি ফসলহানির ব্যবস্থা করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোলাইমান হোসেন বলেন, কালভার্টের মুখে আমার জমি। তাই আমার জমির ওপর আমি মাটি ভরাট করেছি। অন্য কোনো স্থান দিয়ে পানি নিষ্কাশন করা হোক। ধানগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর ওবায়দুল ইসলাম মাসুম জানান,আমি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার সত্যতা রয়েছে। আমি সোলেমান হোসেনকে নির্দেশ দিয়েছি শনিবার সন্ধার ভিতর কালভার্টটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। অন্যথায় ইউনিয়ন পরিষদের হস্তক্ষেপে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মন্ডল জানান, এ ব্যপারে কোন অভিযোগ পাইনি, পেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।