চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিগত ২২ জুলাই থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত এক মাসে পৃথক পাঁচটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আনুমানিক পৌনে এক কোটি টাকা হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
স্হানীয়, প্রত্যক্ষদর্শী, ফায়ার সার্ভিস, জনপ্রতিনিধি ও অগ্নিদূর্গতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২২জুলাই উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মানিক চৌধুরী বাড়ির জোস মোহাম্মদের ঘরে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ৫ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ৩০ জুলাই ১২ নং চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের অহনের পাড়ায় সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডে ৫ পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৩০ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। গত ৯ আগস্ট মেখল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের নোয়ামিয়া সওদাগরের বাড়িতে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ৫ পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ১৫ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। গত ১১ আগস্ট ধলই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বেলায়েত আলী সওদাগরের বাড়িতে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডে ৪ পরিবার ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ২০ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সর্বশেষ গত ১৪ আগস্ট মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কুতুব চৌধুরী বাড়িতে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবার ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ১০ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। উপজেলায় সংঘটিত পৃথক অগ্নকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান পৌনে এক কোটি টাকা ছড়িয়ে গেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ফতেপুর ইউনিয়নে সংগঠিত অগ্নিকান্ডের বিষয়ে এযাবৎ কোন কারণ জানা যায়নি। মেখলে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ড গ্যাস সিলিন্ডার খেকে। বাদবাকি তিনটি অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বৈদ্যূতিক শর্ট সার্কেট থেকে। এসব অগ্নিকন্ডের সংবাদ অবহিত হয়ে হাটহাজারী থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। অগ্নিদূর্গত পরিবারের মধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদেন পক্ষ প্রাথমিকভাবে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্হ পরিবারের মধ্যে ঢেউ টিন ও নগদ অর্থ বিতরন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন। মেখল ইউনিয়নে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হ পরিবারের মধ্যে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম নগদ অর্থ বিতরন করছেন। ধলই ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্হ পরিবারের মধ্যে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর এক বান্ডিল করে ঢেউ টিন প্রদান করেছেন। তাছাড়া স্হানীয় ইউ পি চেয়ারম্যান আবুল মনসুর তার ব্যক্তিগত ও ইউ পি তহবিল থেকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের ঘর নির্মানের কাজ শুরু করেছেন বলে তিনি গনমাধ্যমকে জানান।