কাউখালী উপজেলা সদরে মূল প্রবেশ পথ বাসষ্ট্যান্ড হইতে সরকারি বালক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়ক বিভাগের ৫শ মিটার রাস্তাটি মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। গাড়ি চলা তো দূরের কথা রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলার কোন উপায় নেই বড় বড় খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সব সময় রাস্তাটিতে পানি জমে থাকে। সামান্য বৃষ্টি এবং জোয়ারের পানিতে রাস্তাটিতে হাঁটু পর্যন্ত জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যার ফলে প্রতিদিনই ছোট, বড় দূর্ঘটনায ঘটে এ রাস্তাটিতে। এলাকাবাসী, স্থানীয় সাংবাদিক সহ বিভিন্ন মহল বহুবার বিভিন্ন মাধ্যমে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি তুললেও এখনো কাজ শুরু হয়নি। পিরোজপুর, রাজাপুর, স্বরূপকাঠী, নৈকাঠী দিয়ে আন্তঃ এবং দূর পাল্লার বাস এবং পরিবহনের একমাত্র প্রবেশদ্বার এই রাস্তা। প্রতিদিন বাস, ট্রাক সহ শত-শত রিকশা, অটোরিকশা ও বিভিন্ন যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। রিকশা চালক লিটন (৪০) বলেন, এ রাস্তাটি এখন মরণ ফাঁদ এখান দিয়ে যাত্রীরা চলাচল করতে চায়না। রাস্তাটির পাশে ড্রেনের ব্যবস্থা এবং এই রাস্তাটা মেরামত করা একান্ত দরকার। স্কুল শিক্ষক মেহেদী হাসান নয়ন বলেন, মটর সাইকেল নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, রাস্তার উপর সব সময় জলবদ্ধতা লেগেই আছে যাওয়ার সময় পোশাক-আশাক নষ্ট হয়ে যায় তবুও চলতে হয় কেননা এই রাস্তা দিয়েই স্কুলে যেতে হয়। কাউখালী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সড়ক ও জনপদ এর নির্বাহী প্রকৌশলীকে এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাজিউল আলম রাজু জানান, অতি বৃষ্টির কারণে ঠিকাদার রাস্তার কাজ করতে পারছেনা। বৃষ্টি কমলে রাস্তার কাজ পুরোদমে শুরু হবে। তিনি আরও জানান, রাস্তার দুই পার্শ্বে বাড়ী ঘর থাকায় জমির মালিকরা জায়গা না দেয়ায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।