পটুয়াখালীর বাউফলে ১৩ বছর বয়সে এক মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকারের শিকার হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসার প্রধানশিক্ষক সেলিম গাজীকে (৩৮) পিরোজপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮ এর সদস্যরা।
সোমবার দুপুরে বরিশাল নগরীর রূপাতলীস্থ র্যাব-৮ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান। গ্রেপ্তারকৃত সেলিম গাজী পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডস্থ বড় ডালিমা এলাকার আবুল কালাম গাজীর ছেলে।
অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কওমিয়া হাফিজিয়া ও নূরানী কিন্ডার গার্ডেন মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং প্রধানশিক্ষক গ্রেপ্তারকৃত সেলিম গাজী তার যৌণ কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে ভিকটিম শিশুকে বিভিন্ন সময় তার রুমে ডেকে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার যৌণ সঙ্গম করে এবং এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রাখে। অধিনায়ক আরও বলেন, এ ঘটনার পর গত ২ আগস্ট বিকেলে ভিকটিম শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকার একাধিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সবশেষ গত ১৩ আগস্ট শিশুটিকে মহাখালীস্থ ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তি করার পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় ভিকটিম শিশুটি মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিম শিশুর বাবা বাদী হয়ে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব-৮ এর একটি দল প্রযুক্তির মাধ্যমে লম্পট শিক্ষক সেলিম গাজীর অবস্থান নিশ্চিত করে রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ থানাধীন গুয়ারেখা ইউনিয়নের বরতকাঠি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। তাকে (গ্রেপ্তারকৃত) সেলিম গাজীকে বাউফল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হত্যা মামলায় পিতা-পুত্র গ্রেপ্তার ॥ র্যাব-৮ এর অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান আরও জানিয়েছেন, জেলার মুলাদী উপজেলার চাঞ্চল্যকর রায়হান সরদার হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি বাবা করিম সরদার ও ছেলে ইয়াছিন সরদারকে ঢাকার বংশাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮ এর সদস্যরা। সূত্রমতে, পূর্ব শত্রুতার জেরধরে গত ১৫ আগস্ট দুপুরে মুলাদীর সফিপুর ইউনিয়নের মাছুয়াখালী গ্রামের মৃত রহিম সরদারের ছেলে রায়হান সরদারকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা ও তার ভাই ইমরান সরদারকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে গ্রেপ্তারকৃত করিম সরদার, ইয়াছিন সরদারসহ তাদের অন্যান্য সহযোগিরা। এ ঘটনায় নিহতের মা সূর্যবান বেগম বাদি হয়ে ১৭ আগস্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।