রায়গঞ্জে এবার ৮২টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ৪০৪ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হতদরিদ্র পরিবারের ১১ জন অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী। দারিদ্রের চরম কষ্ট সহ্য করে, নানা বাধা-বিপত্তি ও সমস্যাকে ডিঙ্গিয়ে তারা এই অবিশ^াস্য কৃতিত্ব অর্জন করেছে। তবে এরা অনেকেই আর্থিক অনটনের কারণে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করতে পারবে না বলে তাদের পারিবার জানিয়েছেন।সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণের প্রদত্ত সূত্রমতে, এরা হলো ধানগড়া উচ্চবিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের ছাত্রী নূপুর খাতুন। সে পৌর এলাকার ধানগড়া মহল্লার মৃত আবদুল মান্নানের মেয়ে। চান্দাইকোনা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী ছালমা খাতুন। সে চান্দাইকোনা ইউনিয়নের ডুমরাই গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে। ঘুড়কা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী রুমিয়া খাতুন। সে ঘুড়কা ইউনিয়নের ঘুড়কা নতুনপাড়া গ্রামের আবদুল কাদের শেখের মেয়ে। নিমগাছি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী সূচনা রাণী। সে সোনাখাড়া গ্রামের সত্য কুমার রবিদাশের মেয়ে। শালিয়াগাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী সুরাইয়া খাতুন। সে ধামাইনগর ইউনিয়নের বাকাই গ্রামের আবদুস সাত্তারের মেয়ে। সলঙ্গা ইসলামিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র ছাদেকুল ইসলাম শ্রাবণ। সে ঘুড়কা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। সুবর্ণগাঁতী উচ্চাবিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মাখদুর মিয়া। সে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটী ইউনিয়নের সুবর্ণগাঁতী গ্রামের মৃত আবদুল কাইয়ুম মিয়া ছেলে। গ্রাম পাঙ্গাসী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাতেমা খাতুন। সে উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মিরের দেউলমুড়া গ্রামের আল-আমিন ভূঁইয়ার মেয়ে। তিন নান্দিনা রশিদিয়া দ্বি-মুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল ওয়াদুদ খান। সে নলকা ইউনিয়নের তিন নান্দিনা গ্রামের মাহমুদুল আলম খানের ছেলে। সলঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্র আবদুল হালিম। সে উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের কুঠিপাড়া গ্রামের শামছুদ্দোহার ছেলে। নলকা মডেল হাইস্কুলের ছাত্রী কামরুন নাহার। সে কামারখন্দ উপজেলার বানিয়াগাঁতী গ্রামের মৃত অছিমুদ্দিনের মেয়ে। এরা সবাই বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান।এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.জাকির হোসেন সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ ট্রাষ্টে থেকে হতদরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা আছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। এছাড়াও এসকল সম্ভাবনাময় মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য সমাজের বিত্তবান হৃদয়বান ব্যক্তি ও সংস্থার এগিয়ে আসা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।