যশোরের মণিরামপুরে স্কুল শিক্ষিকাকে পেটানোর ঘটনায় সেই যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজানকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। সোমবার রাত ৯টার দিকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ মণিরামপুর পৌর শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত দলীয় প্যার্ডে বহিস্কার আদেশপত্র সাংবাদিকদের হাতে পৌছায়। এতে বলা হয়েছে, সংগঠনের শৃংঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকায় মিজানুর রহমানকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়। আপনার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কর্মকা-ে সু-নিদিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। ২৭ আগস্ট এ-সংক্রান্ত একটি কারণ দশানোর নেটিশ দিয়ে তাকে ২৪ ঘন্টা সময় বেধে দেয়া হয়। যথা সময়ের মধ্যে নোটিশের জবাব না পাওয়ার কারণে সংগঠন থেকে তাকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মিজানুর রহমান মিজান মণিরামপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড (দূর্গাপুর) যুবলীগের সভাপতি ছিলো।
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন দায়িত্ব পালন করছিলেন শিক্ষিকা ছালিমা আক্তার। হঠাৎ তিনি দেখতে পান শিক্ষকদের বেসিনে ট্যাব খোলার চেষ্টা করছে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রাকিবুল ইসলাম। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীকে নিষেধ করেন তিনি। এরপর ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে নালিশ করলে মুহূর্তের মধ্যে ওই শিক্ষার্থীর বাবা মিজানুর রহমান বিদ্যালয়ে আসেন। এ সময় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষিকা ছালিমা আক্তারকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন। পরে পরিস্থিতি শান্ত করেন অন্যান্য শিক্ষকরা। ওই শিক্ষিকা মিজানুর রহমানকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার মিজানুরকে পুলিশ আটক করে শুক্রবার আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
মণিরামপুর পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি সাময়িক অব্যহির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মিজানুর রহমান এখন কারাগারে আছে। সে জামিনে মুক্তি পেলে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবতী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।