কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামে প্রবাহমান খালে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে স্হানীয় প্রভাবশালীরা। এতে নিয়মিত পানি প্রবাহ ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে এলাকার শতাধিক একর ধানী জমিতে জলাশয়ের সৃষ্টি হয়ে রোপা আমনের চারা পঁচে গেছে। এ ছাড়াও জোয়ার- ভাটার পানি ঢুকাতে না পারায় অন্ততঃ হাফ ডজন চিংড়ি ঘের মালিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। প্রতিবাদে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর দিয়ে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে পূর্ব ইছাখালী কোনাপাড়ার সাবেক মেম্বার, তাঁর তিন ভাই সহ স্হানীয় রাসেলকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওই অভিযোগের একটি কপি এ প্রতিবেদকের হাতেও এসেছে। এতে দেখা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন নাপিতখালী ১ ও ২ নং পয়েন্ট স্লুইস সংলগ্ন ইছাখালী খালে অভিযুক্তরা বাঁধ নির্মান করে এলাকার ধান ও লবন চাষীদের নিকট থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আসছে। তাদের পেশী শক্তির কাছে জিম্মি হয়ে আছে এলাকার লবণ ও চিংড়ি চাষীরাও। ফলে চলমান বর্ষা মৌসূমে রপ্তানীযোগ্য বাগদা চিংড়ি ও আমন ধান চাষ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্হানীয় সোলতান আহমদ জানান, গত লবণ উৎপাদন মৌসূমে বাঁধের কারণে লবন মাঠে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি উঠানো যায়নি৷ ফলে লবণ চাষ বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছৈয়দ নূর মেম্বারকে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলে ও তার ফোনে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী জানান, বিষয়টি পোকখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যানকেও লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়াকে ফোন করলে মিটিং এ আছেন বলে ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজার'র নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজীর সাঈফ আহমেদ বলেন, বাঁধটি অপসারণের জন্য শীঘ্রই ব্যবস্হা নেয়া হবে৷