ক্রমবর্ধমান সহিংসতার কারণে যুক্তরাষ্ট্র তার নাগরিকদের ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ হাইতি ত্যাগ করার আহ্বান জানানোর ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই কয়েক ডজন হাইতিয়ান নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এক অভিবাসন অধিকার আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হাইতিতে মার্কিন দূতাবাস বুধবার বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জের বিষয়টি উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানায়। হাইতিয়ান ব্রিজ অ্যালায়েন্স অ্যাডভোকেসি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক গুয়েরলাইন জোজেফ বলেন, ‘আমি কয়েকটি হাইতিয়ানদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিছি। তারা বৃহস্পতিবার লুইসিয়ানার আলেকজান্দ্রিয়া থেকে পোর্ট-অ-প্রিন্সের ফ্লাইটে ছিলেন। দ্য হিল এবং মিয়ামি হেরাল্ডসহ মার্কিন মিডিয়া আউটলেটগুলোও এই ফ্লাইটের বিষয়ে প্রতিবেদন করেছে। কয়েকটি ফ্লাইট-ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট দেখা গেছে, একটি বিমান বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরের কিছুক্ষণ আগে আলেকজান্দ্রিয়া থেকে হাইতির রাজধানীতে পৌঁছানোর কথা ছিল। হাইতিতে নির্বাসন পুনরায় শুরু করাকে অমানবিক উল্লেখ করে জোজেফ বলেন, ‘যে পরিস্থিতি থেকে আশ্রয়প্রার্থী এবং অভিবাসীরা পালিয়ে এসেছিল, তাদের সেখানেই ফেরত পাঠানো হচ্ছে।’ হাইতির সংকটকে ক্ষোভের আগুনের সঙ্গে তুলনা করেন জোজেফ। তিনি বলেন, ‘মানুষকে বাঁচাতে অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের পাঠানোর পরিবর্তে আপনি তাদের আগুনে ঠেলে দিচ্ছেন।’ বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি হাইতিতে ব্যাপক গ্যাং সহিংসতা হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগও প্রায় হানা দেয় দেশটিতে। ২০২১ সালের জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসের খুন হলে দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক অচলাবস্থা আরও খারাপ হয়েছে হাইতির। সূত্র: আল জাজিরা