অষ্টম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করতে পারছেন। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ফরম পূরণ ও ফি জমা দেওয়া যাবে। জরিমানা ছাড়া এ বছর রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪ টাকা। এদিকে, অষ্টম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণের সর্বনিম্ন বয়স ১১ বছর নির্ধারণ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড। ১১ বছর পূর্ণ না হলে কোনো শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না। আর রেজিস্ট্রেশনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ১৭ বছর। তবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ২২ বছর বয়স পর্যন্ত অষ্টম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। গত বৃহস্পতিবার বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জেএসসি পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালার ১(খ) ধারা অনুযায়ী, পরীক্ষার বছরের ১ জানুয়ারি পরীক্ষার্থীদের নূন্যতম বয়স ১১ বছরের বেশি হতে হবে এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭ বছর হতে হবে। শিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি পাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যর্থ হলে দায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ওপর বর্তাবে। বোর্ড থেকে অনুমতিবিহীন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পার্শ্ববর্তী বা কাছের অনুমোদিত নিম্নমাধ্যমিক বা মাধ্যমিক স্কুল বা স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই পাঠদানের অনুমতিবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পাবে না।
অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া: ঢাকাবোর্ডের ওয়েবসাইটে নির্ধারিত (ওএমইএ/ই-সিফ) বাটনে ক্লিক করে ইআইআইএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের তথ্য দিতে হবে। ড্যাশবোর্ড থেকে ‘ই-সিফ জেএসসিসি’তে ক্লিক করে ‘পে-অ্যাবল ফিস অব জেএসসি’-এ অ্যাপ্লিকেশন নেম, মোবাইল নম্বর এবং নাম্বার অব স্টুডেন্ট দিয়ে প্রিন্ট সোনালী সেবা-এ ক্লিক করে সোনালী সেবার স্লিপটি প্রিন্ট করতে হবে। ব্যাংকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেমেন্ট ক্লিয়ার করলে নির্ধারণকৃত শিক্ষার্থীদের ই-সিফ পূরণ করা যাবে। পেমেন্ট ক্লিয়ারের পুনরায় সোনালী সেবার স্লিপ বের করতে পারবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।
রেজিস্ট্রেশনে ৩ সদস্যের কমিটি: শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের তথ্য আপলোড করতে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি রেজিস্ট্রেশন কমিটি গঠন করতে হবে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর চূড়ান্ত তালিকা ফাইনাল সাবমিটের আগে কমিটির সদস্যদের দ্বারা ভর্তি ফরম ও সনদের সঙ্গে মিলিয়ে যথাযথভাবে নিশ্চিত হবেন। নিশ্চিত হওয়ার পর ফাইনাল সাবমিট করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন হওযার পর চূড়ান্ত তালিকা প্রিন্ট আউট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। নতুন পাঠদানের অনুমতি পাওয়া নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় (যেসব প্রতিষ্ঠান এখনো নিজ নামে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়নি) ব্যানবেইস থেকে ইআইআইএন সনদ সংগ্রহ করার পর সোনালী ব্যাংকের সোনালী সেবার মাধ্যমে দেড় হাজার টাকা জমা দিয়ে বোর্ডের স্কুল শাখার মাধ্যমে লগইন পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করবে।
নামণ্ডপরিচয় লেখার নিয়ম: শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের এসএসসির সনদ থাকলে, তাদের মূলসনদ অনুযায়ী বা প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা পাসের সনদ অনুযায়ী বাবা-মায়ের নাম অ্যান্ট্রি করতে হবে। শিক্ষার্থীর বাবা-মা এসএসসির সনদধারী না হলে হলে জন্মনিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বাবা-মায়ের নাম অ্যান্ট্রি করাতে হবে। শিক্ষার্থীর নামের আগে মিস্টার, মিসেস, শ্রী, শ্রীমতি ইত্যাদি থাকলে তা ব্যবহার করা যাবে না। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি হালনাগাদ থাকতে হবে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সব তথ্য নিশ্চিত হয়ে ডাটা অ্যান্ট্রি করতে হবে। হালনাগাদ স্বীকৃতি নবায়ন নেই এ ধরনের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করলে পরবর্তীতে রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।