বিগত নির্বাচনগুলোতে যেসব ঘটনা ঘটেছে ভবিষ্যতের সব নির্বাচনে সে ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমন নিশ্চয়তা চান স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ঐক্য পরিষদ’। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংগঠনের পাঁচ বছর পূর্তী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাস্তবতার ও নির্বাচনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রহিম তার বক্তব্যে বলেন, দেশ এবং জাতি যে ক্লান্তি লগ্নে আছে এখান থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প কিছু হতে পারে না। ঐক্যের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্বকে বের করে এনে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদ। যারা সরাসরি কোন দলে যুক্ত নন একই সাথে যারা স্বতন্ত্রভাবে চিন্তাভাবনা করছেন তাদের জন্যই আমরা গঠন করেছি স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদ। আমরা মানবাধিকার ও জনগণের সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে কাজ করব একসাথে মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুখ- দুঃখ এবং তাদের অধিকার নিয়ে আমরা কাজ করব। আমি এবং হিরো আলম আমরা দুই মেরুর দুজন আমি অবশ্যই ধনী সম্প্রদায়ের একজন সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে দীর্ঘদিন সামাজিক এবং মানবিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম তা সবাই জানেন তার মধ্যে আপনারা অনেকেই জানেন যে আমি ঢাকা ১৭ আসন ও ঢাকা ১৫ আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলাম অপরদিকে উত্তর কর্পোরেশনের মেয়র পদে ২০১৯ সালে আমি নির্বাচন করেছি।কিন্তু আমাদের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কে ১% ভোটারের যেই স্বাক্ষর জমা দিতে হয় সেটা অসংবিধানিক এবং বেআইনি বলে মনে করি। এবং তা বাতিলের জন্য দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের পাঁচ বছর পূর্তির সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিতে চাই সারা বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যারা সততার সহিত কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদে যোগদানের আহ্বান করছি এবং সাথে সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অধিকার পুনঃরুদ্ধারে রাজপথে থেকে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এগিয়ে আসুন। অপরদিকে আপনাকে নির্বাচন করার মত যে সকল বিষয়গুলো আপনাদের করতে হবে সেগুলোর ব্যাপারে আপনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আমরা সভা-সেমিনার করব এবং আপনাদেরকে এসব বিষয়ের সচেতন করে ঘরে তুলবো আপনার অধিকার সম্পর্কে আমরা আপনাকে সচেতন করে গড়ে তুলবো এবং আপনাকে সার্বিক সাহায্য ও সহযোগিত করব। পরিশেষে আমরা মহান মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারবর্গের প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের পাশে দাঁড়াবো তাদের যে কোন ন্যায্য দাবি এবং অধিকার আদায়ের জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত থাকবো। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের উপদেষ্টা মো: শাওন আশরাফ, ক্যাপ্টেন আইনুল হক, প্রিন্সিপাল আশরাফ, মিসেস এনি আশরাফ, মো: সালাহউদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।