চাঁদপুর পৌর এলাকায় শালিকার কোপে রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিসিএস ক্যাডার দুলাভাই। ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে পৌর ১৩নং ওয়ার্ডের বাহের খলিশাডুলীতে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের লেকচারার রোমেনার সাথে পারিবারিকভাবে চাঁদপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ফজলুর রব নামের এক শিক্ষকের বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি কন্যাসন্তান থাকলেও প্রায়ই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবারও স্বামী স্ত্রীর পারিবারিক কলহ শুরু হলে ফজলুর রবের একমাত্র শালিকা ছুটে এসে তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে কোপ দেয়। মাথার দিকে দেয়া কোপ রব হাত দিয়ে প্রতিহত করতে গেলে সে কোপ তার হাতে লাগলে ধস্তাধস্তিতে তিনি রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং থানা পুলিশকে অবগত করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আহত রবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালেও দুর্র্ধষ ওই শালিকাকে আটক করতে ব্যর্থ হয়। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, ঘটনা ঘটানো ওই নারী চাঁদপুরের আলোচিত মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী খুন হওয়া ফেন্সির ভাই ফটিক খানের ছোট মেয়ে এবং শহরের বাসস্ট্যান্ডের ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সের আইটি সেন্টারের পরিচালক নিরবের স্ত্রী। তাকে স্থানীয়রা নিশাত নামে চিনে। এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের লেকচারার রোমেনার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য নেয়া যায়নি। তার বিষয়ে জানা যায় তিনি শারীরিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত এবং গুরুতর রোগে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন। এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে আহত শিক্ষক ফজলুর রব বলেন, আমি বাঁচার আকুতি নিয়ে থানা পুলিশকে খবর দিয়েছিলাম। আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিলো। আমি সুস্থ্য হলে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। এ বিষয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা চাঁদপুর সদর মডেল থানার এস আই মোঃ হুমায়ন কবীর বলেন, উর্দ্ধতনের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে পৌছে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ওনি সুস্থ্য হয়ে আসলে লিখিত অভিযোগ দিবেন বলে জানিয়েছেন। তখন আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো। তবে তাৎক্ষনিক ওনার শালিকার নাম জানতে পেরেছি নিশাত। তার পিতা হচ্ছেন মৃত ফটিক খান এবং স্বামী হচ্ছেন নিরব। ওই নারীকে ঘটনাস্থলে না পাওয়ায় আমরা তাকে আটক করতে পারিনি। কিন্তু আমরা সব তথ্য সংগ্রহে রেখেছি। এদিকে, এ ঘটনা চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশকে অবগত করলে তিনি বলেন, আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এ ঘটনায় যে দায়ী তাকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।