পেট্রোল পাম্প মালিকদের একাংশের ধর্মঘট শুরু হয়েছে আজ রোববার। ডিপো থেকে তেল উত্তোলন এবং পরিবহন বন্ধ রেখেছেন তারা। এতে অনেক পাম্পে সকাল থেকে বিক্রি হলেও দুপুর গড়াতে না গড়াতেই তেল শেষ হয়ে যায়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় বিক্রি। আজ রোববার পর্যন্ত এই ধর্মঘট চললে পাম্প সবই বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হবে। মালিকদের দাবি, ডিজেলের ২ ভাগ, পেট্রোলের ৩ ভাগ এবং অকটেনের ৪ ভাগ কমিশন বাড়িয়ে সাড়ে ৭ ভাগ করতে হবে। একইসঙ্গে তাদের শিল্প থেকে বাদ দিয়ে কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এ ছাড়া পুরাতন ট্যাংক লরি অবসরের সময় ২৫ বছর থেকে বাড়াতে হবে। এরমধ্যে জ্বালানি মন্ত্রণালয় তাদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে গেজেট প্রকাশ করেছে। কিন্তু বাকি দুই দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন তারা। রমনা পেট্রোল পাম্পে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তেল শেষ। তাই বিক্রি বন্ধ। সকালে অনেক পাম্পে পাওয়া গেলেও দুপুর নাগাদ তেল শেষ হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে পাম্প। বাংলাদেশ ট্যাংক-লরি শ্রমিক ফেডারেশনের সেক্রেটারি (ঢাকা) রেজাউল করিম রেজা বলেন, আজ তারা কোনো তেল উত্তোলন করেননি। তাদের সঙ্গে কেউ মিটিংও করেনি। পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির একাংশের মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান রতন বলেন, একপক্ষ দালালি করছে। কিন্তু তাদের সংখ্যা হাতে গোনা। তারা পাম্প খোলা রাখলেও লাভ নাই। তেল উত্তোলন তো বন্ধ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে। এর আগে বাংলাদেশ ট্যাংক-লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্যাংক-লরি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের উপস্থিতিতে গত ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হমিদের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩-এর মধ্যে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সব দাবি-দাওয়া পূরণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আশ্বস্ত করা হয়। এরপর একাংশ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে। কিন্তু অন্য অংশ জানায়, তাদের দীর্ঘদিনের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না করে কর্তৃপক্ষ শুধু সময়ক্ষেপণ করছে। তাই আজ রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করা হবে।