নেত্রকোনার কলমাকান্দায় আবহাওয়া জনিত কারণে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাস সর্দি-জ্বর। সব বয়সি মানুষই এই সর্দি কাশি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। সুত্র জানায়,কলমাকান্দা উপজেলায় গত কয়েকদিন ধরে ভ্যাপসা গরম আবহাওয়া বইছে। এই আবহাওয়া জনিত কারণে সব বয়সি মানুষই সর্দি জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হলে ওষুধ সেবন করেও ৪/৫ দিনেরও আরোগ্য লাভ হচ্ছে না। আক্রান্তদের ন্নূতম ৫/৬ দিন ভুগতে হচ্ছে। জ্বর কমে গেলেও শারীরিক দুর্বলতা থাকে বেশকিছু দিন পর্যন্ত। ভাইরাস জ্বরে আক্রান্তদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় বাড়ছে। আউটডোর আগত রোগীদের প্রায় ৪০ শতাংশই জ্বরে আক্রান্ত রোগী। গত এক মাসে ডেঙ্গু সানাক্ত হয়েছে ৯ জন। এরমধ্যে ৪ জন রোগীকে রেফার্ড করা হয়েছে। অন্যরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাছাড়া ডায়গনোস্টিক সেন্টার গুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়। তবে ডায়গনোস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু পজিটিভ রোগীদের রেজিস্টার এন্টি করা হয়না বলে জানান তারা। এদিকে কোনো কোনো পরিবারে সব সদস্য একসঙ্গে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জ্বরের অসহ্য যন্ত্রণা ভোগের কথা তুলে ধরে দোয়া কামনা করছেন। কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আল মামুন জানান, প্রতিদিন আউটডোর ও ইমার্জেন্সিতে শতাধিক রোগীর আগমন ঘটে। এর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ রোগীই জ্বরে আক্রান্ত। তবে এসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন না। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। জ্বরে আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়ায় বেশকিছু রোগীর ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো হলে কয়েকজনের পজিটিভ এসেছিল। এখন প্রায় সবারই নেগেটিভ রিপোর্ট আসছে। জ্বর হলে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। বর্তমানে অতিরিক্ত গরমের কারণে ভাইরাস জ্বর-সর্দি বেড়েছে। এই জ্বরের তেমন এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন নেই। প্যারাসিটামল জাতীয় সাধারণ ওষুধের পাশাপাশি বেশি করে পানি-শরবত ও ভিটামিন সি জাতীয় ফলমূল খেতে হবে। পানিশূন্যতা দেখা দিলে ওরস্যালাইন খেতে হবে। জ্বরে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক সেবন করা যাবে না। জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবনের জন্য আহবান রাখেন তিনি।