মাগুরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী রুবাইয়া ইয়াসমিন মাইশাকে ধর্ষণ এবং হত্যা চেষ্টার অভিযোগ তুলে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ভুক্তভোগী মাইশার পরিবার, এলাকাবাসী, এবং অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দ।
এ উপলক্ষে সোমবার ৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে মাগুরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় এর সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী মাইশার বড় বোন সামিয়া শশী দাবি করেন, অভিযুক্ত ইব্রাহীম দীর্ঘদিন যাবত মাইসার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করে এবং স্কুল ও কোচিংয়ে যাওয়া আসার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। পরবর্তীতে মাইশা বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে তার পরিবার ইব্রাহিম এবং তার সহযোগীদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে এত তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন ২৮ জুলাই আনুমানিক রাত সাড়ে আটটার দিকে অভিযুক্ত ইব্রাহীম, তালহা, রাফি ও সাজ মিলে নতুন বাজার সাহাপাড়া থেকে ভুক্তভোগী মাইশাকে তুলে নিয়ে প্রথমে মাগুরা ইনডোর স্টেডিয়ামের পাশে পরে আদর্শ কলেজ পাড়া শিক্ষা অফিসের পাশে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে মাইশা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে অভিযুক্তরা এবং মাইসার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে হাসপাতালে আসতে বলেন। তাৎক্ষণিক মাইশার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে আসেন। এ সময় মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর বিবেচনা করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার্ড করেন। পরে আরো উন্নতি চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজে উন্নত চিকিৎসার পর প্রায় ১০ দিন পরে তার জ্ঞান ফিরে আসে। ভুক্তভোগী মাইশা অচেতন থাকায় তাৎক্ষণিক ঘটনার বর্ণনা দিতে পারেননি।
প্রায় ১০ দিন পর জ্ঞান ফিরে আসার পর ভুক্তভোগী মাইশা জানান অভিযুক্ত ইব্রাহীম এবং তার ৩ সহযোগী তালহা, রাফি ও সাজ তাকে শহরের নতুন বাজার সাহাপাড়া ভয় দেখিয়ে তুলে প্রথমে স্টেডিয়াম পাড়ায় নিয়ে সিগারেটের আগুন দিয়ে তার হাত পুড়িয়ে দেয় এবং মুখের উপর সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ে পরবর্তীতে শিক্ষা অফিসের পাশে নির্জন জায়গায় নিয়ে মারধরের একপর্যায়ে ইব্রাহিম কিছু একটা দিয়ে তার মাথায় সজোরে আঘাত করলে তিনি জ্ঞান হারান। বিষয়টা দুর্ঘটনা ছিলনা তাকে অভিযুক্ত চারজন মিলে ধর্ষণ এবং হত্যার চেষ্টা করেছে। এ বিষয়ে মাগুরা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কাউকে আটক করেনি।