মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এর মামলায় আসাদ উল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রামের নাম মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায় সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে আসামি আসাদ উল্লাহ মুন্সীগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালতের বিচারক রোকেয়া রহমান তাকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো.আব্দুস সাত্তার।
আসামী আসাদ উল্লাহ(৩৭) গজারিয়া ভবেরচর এলাকার ভাড়াটিয়া। তবে তার স্থায়ী ঠিকানা জানা না গেলেও আইডি কার্ড থেকে তার বাবার নাম মৃত শামসুদ্দিন আহমেদ বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, আসাদ উল্লাহ গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন লোকের কাছে সাংবাদিক পরিচয়ে বিদেশে কিংবা সরকারী চাকুরি দেওয়া প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মস্বাত করেছে। আসামীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে ৭/৮ টি প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ এর মামলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদি গজারিয়া উপজেলার বৈদ্দারগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল করিমের ছেলে ফেরদৌস হাসানকে আসামি আসাদ উল্লাহ বাদীকে বৈধ ভিসায় সুইডেন পাঠানোর কথা বলে গত ২৫ এপ্রিল ২০২২ইং তারিখে ৮ লাখ টাকা নেয়। দুই মাসের মধ্যে বাদিকে সুইডেন পাঠাবে বলে আস্বাস দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে যাওয়ার পরে ও বাদীকে সুইডেন পাঠায় নাই কিংবা ৮ লাখ টাকা ফেরতও দেয় নাই। টাকা চাইলে আসামি বাদীর পাওনা টাকা ফেরতের বিষয়ে অস্বীকৃতি জানালে ২০২২সালের ৬ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ আদালতে এসে আসাদ উল্লাহকে আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ আদালতে মামলা করলে বিচারক মামলাটি পি.বি.আই মুন্সীগঞ্জ বরাবরে তদন্তের আদেশ দিলে তদন্ত রিপোর্টের আলোকে আদালত আসামীকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিলেও আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। আসামি দীর্ঘদিন পলাতক থাকার আজ আদালতে হাজির হলে শুনানী শেষে বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন জানান, এ ঘটনার মামলায় আসামি আসাদ উল্লাহ মহামান্য হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে হাইকোর্ট তাকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেয়। আজ আসামি ওই আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।