রাস্তা না থাকায় দূষিত পানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে নন্দীগ্রাম উপজেলার প্রত্যান্ত পল্লীর গুলিয়াকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এমন দুর্ভোগ দেখেও না দেখার ভান করে আছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯১৯ সালে নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাজগ্রাম ইউনিয়নের নাগর নদীর বাঁধের পাশে কৃষ্ণপুর গ্রামে স্থাপিত হয় বিদ্যালয়টি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পরিত্যাক্ত জমির আইল পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত জমির আইল সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায়। এতে হাঁটু পানি ভেঙে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। আবার বিদ্যালয়ের পিছনে বাঁশ ঝাড় ও গোরস্থান রয়েছে। সেদিক দিয়েও বর্ষার সময় আসতেও শিক্ষর্থীদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আল মাহামুদ ও রাব্বী হাসান বলেন, বিদ্যালয়ে যাতায়াতের বর্ষার সময় পরিত্যাক্ত জমির আইল ডুবে যায়। মাঝেমধ্যেই পড়ে গিয়ে বই-খাতাসহ পোশাক ভিজে যায়। কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত আমাদের স্কুলের রাস্তা বানিয়ে দেয়।
স্থানীয় অভিভাবক সুমুর আলী বলেন, স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনো রাস্তা নেই। আর বর্ষার সময় নাগর নদী বৃষ্টির পানি বৃদ্ধি পায়। যার ফলে ফসলি মাঠসহ জলাশয় ডুবে যায়। নানা ধরনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে ছেলে-মেয়েদের পাঠাতে হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, খড়া মৌসুমে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষার মৌসুমে বিদ্যালয়ে আসতে প্রতিদিনই শিক্ষার্থীদের বই-খাতা ভিজে যাচ্ছে। এতে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ। এই ভোগান্তি নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
থালতা মাজগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মতিন বলেন, বিদ্যালয়ের রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
এবিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুল হক বলেন, কয়েকদিন আগে এই উপজেলায় যোগদান করেছি। আমার জানা ছিল না। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি মাসিক সম্বনয় মিটিংয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। দ্রুতই শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতের ব্যবস্থা হবে।