সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন রুগীর শরীরে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন করা হয়েছে। গত রোববার সকালে মমিনুর রহমান স্মরণ (২৫) নামে এক ব্যক্তি প্রচন্ড পেটের ব্যাথা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আসেন। সে উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ছোট কুতুবপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর মন্ডলের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগী মমিনুর রহমান স্মরণ কে হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্তব্যরত নার্স ওই রোগীর শরীরে একটি স্যালাইন পুশ করে। স্যালাইনটি শেষ হলে আরেকটি স্যালাইন নিয়ে আসা হয়। কিন্তু রোগীর খিঁচুনি উঠলে রোগীর বন্ধুর সন্দেহ হয়। পরে স্যালাইনের প্যাকেটটি চেক করে দেখতে পান মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ দেয়া আছে ৫/২০২৩ পর্যন্ত। ঘটনাটি জানার পর রোগী আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে কানা গুষা শুরু হলে, নার্স তড়িঘড়ি করে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইনের প্যাকেটটি সরিয়ে নেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, সিনিয়র ষ্টাফ নার্স হাসিনা আকতার বলেন, এটি তো কোন ব্যাপার না। ৩-৪ মাসের মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করলে দেহের কোন ক্ষতি হয়না।
রোববার সন্ধ্যায় রোগীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে গেলে, রোগীকে হাসপাতালে পাওয়া যায়নি। তবে সোমবার ওই রুগী মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমাকে ওই দিনই রিলিজ করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চিকিৎসকদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাদের সেবার মান নিয়ে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন সরদার বলেন, সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোনো রোগীর শরীলে বা হাসপাতালে মেয়াদ উত্তীর্ণ কোনো স্যালাইন খুঁজে পাইনি। এলাকার সচেতন মহল বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে।