নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। মঙ্গলবার হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। সালাউদ্দিনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও কায়সার কামাল। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী জানান, ৩১ আগস্ট হাইকোর্ট ৫ মামলায় তাকে জামিন দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৩ মামলায় জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছিলে। আদালত নো অর্ডার আদেশ দিয়েছেন। কায়সার কামাল জানান, ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির ঘটনায় এসব মামলা হয়েছিল। গত ৩ আগস্ট যাত্রাবাড়ী হানিফ ফ্লাইওভার থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে সালাউদ্দিন আহমেদকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে পরিবার অভিযোগ করে। পরে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বিএনপির ডাকা সমাবেশের কোনো অনুমতি ছিল না। সমাবেশের দিন বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর হয়েছে। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে। দুটি মামলায় সালাউদ্দিন প্রধান আসামি। সেই দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর পর ০৪ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন আদালতে হাজির করে যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক স্নেহাশীষ রায়। আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।