মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখানে আধিপত্য বিস্তার ও ইটভাটা দখল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে টেঁটা যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ জন পুলিশ সদস্য ও নারীসহ আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার মোল্লা কান্দিতে এই সংঘর্ষ চলে। এতে টেঁটাবিদ্ধ হয় রিফা আক্তার, রাকিব মুন্সী, শহিদ বাউল, মিশু মোল্লা, জাকারিয়া, শাহ আলী, এলাহী মুন্সী, জামিলা, সাব্বির, মিঠুন বাউলসহ ১০ জন। এ সময় আহত হয় আরো কমপক্ষে ১০ জন। এই ঘটনার পুলিশ আটক করেছেন ৩ জনকে। তারা হলেন হুমায়ুন মুন্সী (৫৫), মামুন মুন্সী (৩৮) ও আলী আহমেদ (৪৫)।
জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে নুরু বাউল গ্রুপ ও নাসির মেম্বার গ্রুপের মধ্যে বালুচর বাজার ও ইট ভাঁটা দখলকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিলো। যা সম্প্রতি সিরাজদিখান থানা পুলিশ উভয়পক্ষকে ডেকে নিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছিলো। সেই বিরোকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার চলে টেঁটা যুদ্ধ। এ সময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয় পক্ষের ইটের আঘাতে সিরাজদিখান থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মুক্তার হোসেনসহ তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গেলে তারা পুলিশের উপর আক্রমণে করে। এতে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গুরুতর আহতসহ আরো দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এইঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।