হাজীগঞ্জের বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের বড়কুল গ্রামের কালা সতীনাথ বাড়ির পাকা বসতঘর থেকে উত্তম চন্দ্র বর্মন (৬৫) ও কাজল রানী বর্মন (৫০) নামের স্বামী স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করছে থানা পুলিশ। এর আগে একই দিন সকালে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বসত ঘরের মধ্যে তাদেরকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায় প্রতিবেশি এক নারী। নিহত দম্পত্তি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার পেয়ারাপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্ধা। তারা সেখানে একটি বাড়ির কেয়ার টেকার হিসেবে বসবাস করতো ও উত্তম রায় স্থানীয় রায়চোঁ বাজারে মাছের ব্যবসা করতো। ঘটনা অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই ও সিআইডি টিম ঘটনাস্থলে পোঁছেছে বৃহস্পতিরার দিবাগত রাতের কোন একসময় এই হত্যাকান্ড ঘটে বলে স্থানীয়রা জানান।
স্থানীয়রা জানান, বড়কুল গ্রামের সতিনাথ বাড়ির মালিক দুলাল চন্দ্র সাহা নারায়নগঞ্জে ব্যাবসা করেন, তাদের বাড়ির এবং বসতঘরের কেয়ারটেকার হিসেবে ৮/১০ বছর ধরে থাকেন উত্তম চন্দ্র বর্মন (৬৫) ও তার স্ত্রী কাজল রানী বর্মন (৫০)।
প্রত্যক্ষদর্শী সবিতা রানী রানী সাহা (৪৮) জানান, সকাল ৭ টার দিকে আমি পূজার ফুল তোলার জন্য ঐ বাড়ীর বিল্ডিংয়ের সামনে গিয়ে দেখি তাদের দরজা খোলা। এ সময় আমি তাদেরকে না দেখে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে দেখি তাদের ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো। আরেকটু ভিতরে গিয়ে উত্তর পাশের রুমে দেখি উত্তম খাটের উপর হাত-পা বাধা বিবস্ত্র এবং দক্ষিণ পাশের রুমে কাজলী রানী খাটের উপর হাত-পা বাধা অর্ধ বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। এই অবস্থা দেখে আমি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন আসে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রশিদ ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধারসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাকে ঘটনাস্থলে আসতে বলা হয়েছে।