বিরলে মারপিটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় অন্যান্য পলাতক আসামি ও তাদের লোকজন বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে বাদির অভিযোগ। মামলার বাদী তাঁর পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরেনের ঘটনার ঘটাতে পারে বলে বাদীর আশঙ্কা।
মামলার বাদী আঃ কাফি জানান, বিরল উপজেলার শহরগ্রাম ইউনিয়নের ওকড়া গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে আঃ রশিদ (৩৬), মৃত রহমান আলীর ছেলে ফাজু মোহাম্মদ গংরা পুর্বশত্রুতার জের ধরে গত ২৮ জুলাই বিকেল ৪ টার দিকে একই এলাকার আঃ কাফি বাড়ি থেকে বের হয়ে নাড়াবাড়ী হাটে যাওয়ার পথে তাকে আটক করে। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষগংরা ধারালো অস্ত্রদিয়ে কোপাতে শুরু করলে বাদী আঃ কাফীর মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়। তাঁর আর্তচিৎকারে সালমা খাতুন ও সন্তান সালেহুর রহমান এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাথারী মারপিট করে মা-ছেলেকেও গুরুত্বর আহত করে। আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামি আঃ রশিদ (৩৬), ফাজু মোহাম্মদ (৫০), আঃ রাজ্জাক (৪৮), জাকিরুল ইসলাম (২৫), সাইবুর রহমান (২৬), আনছার আলী (৪৭), মাসুদ (২৪), কালামসহ (৪৫) অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরত্বর আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। গুরত্বর আহত আঃ কাফি ও তাঁর ছেলে সালেহুর রহমানের অবস্থা অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানন্তর করেন। আঃ কাফীর মাথায় ৮ টি সেলাই, মুখের উপরের পাটির ২ টি ও নীচের পাটির ৩ টি দাঁত পরে যায়। ছেলে সালেহুরের মাথায় ৩ টি সেলাইসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কালশিরা জখমপ্রাপ্ত হয়। আহতদের চিকিৎসা শেষে আঃ কাফি বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত এ উল্লিখিত আসামীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক লিমেন্ট রায় উল্লিখিত আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আমলে (সি.আর-মামলা নং-১৭৯/২০২৩) নিয়ে বিরল থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) এজাহার হিসেবে গন্য করার নির্দেশ দেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল হাসান গত ৭ সেপ্টেম্বর উল্লিখিত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা নং- ৪ দায়ের করে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্ত এসআই অশ্বিনী কুমার বর্ম্মন এজাহার নামীয় আসামি ফাজু মোহাম্মদ (৫০) ও জাকিরুল ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
এ মামলা দুই আসামি গ্রেপ্তারের পর হতে অন্যান্য আসামি ও তাদের লোকজন মামলা বাদী আঃ কাফী ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। আসামীদের অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকির কারণে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাদী ও তার পরিবার। বাদী আঃ কাফী সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারি সংস্থার আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।