রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের ৯ দিন পর অর্ধগলিত এক অটো রিক্সা চালকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের দোয়ালিপাড়া এলাকার রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের পাশের একটি ডোবার কচুরি পানার নিচ থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত হাবিবুর রহমান (২৩) আলমপুর ইউনিয়নের ফাজিলপুর বানিয়াপাড়া এলাকার ওয়াহেদ আলীর ছেলে। গত ৩১ আগস্ট অটোরিক্সা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে রাতে আর ঘরে ফেরেননি। সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুঁজি করে না পাওয়ায় শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫.৩০ মিনিটে থানায় একটি হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের এজাহার দেন পিতা ওয়াহেদ আলী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতেই মামলা রেকর্ড করে প্রযুক্তি সহায়তায় তদন্তে নেমে অটো চোরাই চক্রের মূল হোতা ও হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী দোয়ালীপাড়ার মৃতঃ খবির উদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩০), পশ্চিম দোয়ালিপাড়া গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে হামি মুশফিকুর রহমান (২০), দোয়ালিপাড়া গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে সোহাগ (৩৫) কে গ্রেপ্তার করে তারাগঞ্জ থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ঘটনার দিন তারা কৌশলে হাবিবুর রহমানকে ডেকে নেয়। গভীর রাতে গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। পরে পেছনে হাত বেঁধে গলায় ইট ও মাছ ধরার জাল পেঁচিয়ে ডোবায় ফেলে দেয়। ছিনতাই করা অটো রিক্সাটি বিক্রি করে দেয় ৪৪ হাজার টাকায় আরেক সিন্ডিকেটের কাছে। পুলিশ আরও জানায়, শরিফুল ইসলামের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। ২০১৯ সালে মাদক মামলায় সে গ্রেপ্তার হয়েছিল।
রংপুর জেলা পুলিশের অতিঃ পুলিশ সুপার আশরাফ সিদ্দিকী জানান, চঞ্চল্যকর এই মামলাটি আমরা দ্রুততার সাথে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তদন্তে নামি। তদন্তে বেরিয়ে আসে আসামিদের সাথে হাবিবুরের যোগসাজশ। রাতে আসামি গ্রেপ্তার করে সকালেই তাদের দেখিয়ে দেওয়া জায়গা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ও হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করায় ৩ জন আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।