মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বালু ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের নতুন চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, লতব্দী ইউনিয়নের (কংশপুরা গ্রাম) ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. মোশারফ হোসেন সেন্টু ও জহিরুল ইসলাম জহির এর সাথে একই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মো. মামুন হোসেনের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ বালুর ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেড়ে সোমবার বেলা ১১ টায় সাবেক ইউপি সদস্য মো. মোশারফ হোসেন সেন্টু ও জহিরের বড় ভাই ইকবাল হোসেন ২০-২৫ জনের একটি গ্রুপ ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মামুন হোসেন ও তার সমর্থকদের বাড়ীঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় ৮ টি বাড়ী ভাঙচুর, ১৫০ ভড়ি স্বর্নালংকার, ফার্মের গরু লুট করে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মামুন হোসেন জানান, সাবেক মেম্বার সেন্টু ও ইকবাল ২০-২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ নিয়ে আমার বাড়ীসহ মোট ৮ টি বাড়ী ভাঙচুর, ১৫০ ভরি স্বর্ন, আমার আত্মীয় ছিদ্দিকের ‘পাভেল ডেইরী’ ফার্ম হতে বেশ কয়েকটি গরু লুট করে নিয়ে যায়। এতে আমাদের প্রায় ২ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন সেন্টু বলেন, এগুলো সম্পূর্ন মিথ্যা কথা তারা নিজেরাই ভাঙচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। লতব্দী ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ মো.ফজলুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইউপি সদস্য মামুনের বাড়ী ঘর ভাঙচুর, স্বর্নলংকার ও খামার থেকে কয়েকটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষ জহির গ্রুপ। এ বিষয়টি সিরাজদিখান থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে তবে কয়টা বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছিনা। পুলিশ পাঠিয়েছি, আমি নিজেও সেখানে যাচ্ছি।