পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলের নদ-নদী,খাল-বিল ও জলাশয়ে বোয়াল মাছের পোনা নিধন কোনভাবেই থামছেনা। এর যেন উৎসব শুরু হয়েছে। প্রতিদিন এ অঞ্চলের হাট-বাজারে বোয়াল মাছের পোনা বিক্রির ধূম পড়েছে। দিন-রাত ছোট ছোট অসংখ্য বোয়াল মাছ ধরা হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এ ব্যাপারে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেই। চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল,নিমাইচড়া,ছাইকোলার বিল এলাকা ছাড়াও ডিকশি বিল,খলিশাগাড়ি বিল,আফরার বিল,বগা বিলসহ বিভিন্ন জলাশয়ে বাদাই জাল দিয়ে প্রকাশ্যে বোয়াল মাছ নিধন করা হচ্ছে। খরা জালে ধরা হচ্ছে বোয়াল মাছের পোনাসহ মা মাছ। এসকল বোয়াল মাছের পোনা হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। গত কয়েক দিন চাটমোহর নতুন বাজার ও পুরাতন বাজারে গিয়ে দেখা গেল ৪/৬ জন মাছ বিক্রেতা বোয়াল মাছের পোনা বিক্রি করছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বললেন,দিনে ও রাতে এসকল বোয়াল মাছ বাদাই জাল দিয়ে ধরা হচ্ছে। বোয়ালের পোনা (ছোট বোয়াল) ২/৩ শ’ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন বিলে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জালের ছড়াছড়ি। ডিকশি বিল,বিল কুড়ালিয়া,খলিশাগাড়ী বিল,সনকিভাঙ্গা বিল,আফরার বিল,নিমাইচড়া,হান্ডিয়াল,পাশর্^ডাঙ্গা,ফৈলজানা ও ডিবিগ্রামের বিভিন্ন নদ-নদী,বিল ও জলাশয়ে অসাধু মাছ ব্যবসায়ী ও মৌসুমী মাছ শিকারীরা চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল ব্যবহার করে দেশী প্রজাতির বিভিন্ন মাছের পোনা ও মা মাছ নিধনে মেতে উঠেছে। এতে দেশী প্রজাতির মাছ বিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছে জীব বৈচিত্র্য।
বিভিন্ন বিল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,প্রতিটি বিলেই অসংখ্য চায়না দুয়ারি পেতে মাছ নিধন করা হচ্ছে। প্রকাশে বাদাই জাল দিয়ে বোয়াল মাছের পোনা ধরা হচ্ছে। আর এসকল মাছ প্রকাশ্যে হাট-বাজারে বিক্রিও করা হচ্ছে।
চাটমোহর উপজেলা মৎস্য বিভাগ বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলেছে। কিন্তু অধিকাংশ বিলে অসংখ্য জাল পেতে মাছ ধরা হচ্ছে। বাদাই জালের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আঃ মতিন জানান,চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। বোয়াল মাছের পোনা নিধনকারীদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হবে।