লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে দুইদিন পর অপহৃত স্কুলছাত্রী তাসমিয়া ইয়াসমিন মুনিয়াকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালীর মাইজদী শহরের একটি সড়ক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ। রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় স্কুলে যাওয়ার পথে উপজেলার চর নেয়ামত সুপিরহাট বাজারের পুর্ব পাশে মনু হাওলাদার বাড়ীর সামনের সড়ক থেকে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী অপহৃত হয়। স্কুলছাত্রী মুনিয়া স্থানীয় জনতা মডেল একাডেমির নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও চরআলগী ইউনিয়নের চরনেয়ামত এলাকার বাসিন্দা মনির হাওলাদারের মেয়ে।
এর আগে বেলা ১১ টা থেকে সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ছাত্রী মুনিয়াকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের শাস্তির দাবিতে সুফির হাট বাজার এলাকায় ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এ সময় উপজেলার 'সুফির হাট' বাজারে এসে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের শান্ত করে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপহৃত স্কুলছাত্রীর সন্ধানের বার্তা দেন। পরে আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীরা সরে যান। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত জড়িত সকল আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
রোববার রাতে এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা রোববার রাতে সাগরসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞত আরও ২-৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন, চর সেকান্দর এলাকার আকবর মাঝির ছেলে মো. রাজু (২৪) তার ভাই মো. সাগর (২১) চর নেয়ামত এলাকার মো. মাহফুজ (১৯), মো. রনি (১৯), মো. শামিম (২০) ও তার ভাই শরীফ (২১)।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ না করার জন্য অনুরোধ জানান। স্কুলছাত্রীকে নোয়াখালী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এখন পর্যন্ত আসামি কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।