বরিশারের বাবুগঞ্জে ঘটককে টাকা না দেয়ায় মেয়ের বাবা আ.লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ জানে আলমকে পিটিয়ে আহত করেছে ঘটক। এ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের মৌলভীগঞ্জ বাজারে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেদারপুর ইউনিয়নের ৭নং ওর্য়াড কেদারপুর গ্রামের ইউনিয়ন আ.লীগ সদস্য ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ জানেআলম এর মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া লিখির সাথে দেহেরগতি ইউনিয়নের লামচর ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের সাইদুল ইসলাম হাওলাদারের পুত্র প্রবাসী শামিম হাওলাদারের বিয়ে হয়। ওই বিয়েতে ঘটক ছিল ছেলের মামা মোঃ মতলেব খান। বিয়ের পরে সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ জানেআলম মেয়েকে তুলে দেয়। বিয়ের ঘটক মতলেব খানকে পারিশ্রমিক ৫হাজার টাকা না দেয়ায় ঘটক ছেলের পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করায় বিয়ের পর ছেলে শামিম শশুড় বাড়িতে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এদিকে ঘটক মতলেব খান তার ভাগিনা শামিমের স্ত্রী লিখিকে ভয়ভীতি দিয়ে পিতার বাড়িতে আসতে দেয়নি বরং তাকে দিয়ে আলীগ নেতার জানেআলমকে হয়রানী পায়তারা করছে। ওই ঘটনা নিয়ে গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ঘটক মতলেব খান ও তার ভাই ফরিদ খানের মধ্যে বিয়ের ঘটনা নিয়ে কথাকাটি ঘটে। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার সন্ধ্যায় ঘটক মতলেব খান ও ফরিদ খান ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে মৌলভী বাজারে বসে মেয়ের বাবা ও সাবেক ইউপি সদস্য জানেআলমকে পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করেছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল সেবা-চিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেদারপুর ইউনিয়ন আ.লীগের প্রতিষ্টাতা সদস্য আঃ মান্নান ফকিরের ছেলে আ.লীগ নেতা জানেআলম ফকিরের উপর সস্ত্রাসী হামলা ঘটনা উৎঘাটন করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ ও সুষ্ট বিচারের দাবি করছেন কেদারপুর ইউনিয়ন আ’লীগ।