জয়পুরহাটের পাঁচবিবির চাঞ্চল্যকর নাঈম হত্যা মামলার আসামি রেজ্জাকুল ওরফে রাজ্জাক (৪৩) ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে (৩৮) আটক করেছে বগুড়া ও জয়পুরহাট র্যাব সদস্যরা। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের পীরগাছা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃত রাজ্জাক বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। এর আগে মামলার আরেক আসামি বাড়ির মালিক সামছুল ইসলামকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর মামলা হলে তাকেও আটক দেখানো হয়েছে।
৯সেপ্টেম্ব বিকেলে উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের সামছুল ইসলাম তার বাড়ির গোসল খানার মেঝের কাজ করানো সময় শ্রমিকেরা অর্ধ পঁচা জিন্সের প্যান্ট, বেল্ট দেখে এবং গর্ত থেকে লাশের পচা দূর্গন্ধ পায়। পরে পুলিশ লাশটি উত্তোলন করে। মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ১০ সেপ্টেম্বর নিহতের মা গোলাপী বানু বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর র্যাব ১১ ও ৫ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে অবস্থান সনাক্ত করে যৌথ অভিযান চালিয়ে রাজ্জাক ও সাবিনাকে আটক করে পাঁচবিবি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, রেজ্জাকুল ইসলাম ওরফে রাজ্জাক ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন পাঁচবিবি উপজেলা ধরঞ্জী গ্রামে সামছুলের বাড়ী ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করতো। ভারাটিয়ার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে পরকীয়ার জেরে নাঈম হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘোনাপাড়া গ্রামের মৃত মাসুদ রানার ছেলে নাঈম হোসেন (২৩) ২২এপ্রিল রাত ৮টায় দিকে ধরঞ্জী বাজারে যাবার পর সে আর বাড়ি আসেনি। ২৫এপ্রিল নাঈমের মামা ওহেদুল ইসলাম পাঁচবিবি থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন (জিডি নং-১১২৯, তাং- ২৫/৪/২০২৩)। সাড়ে ৫ মাস পর সামছুলের বাড়ির নির্মাণাধীন গোসলখানার মাটির নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।