বগুড়ার শেরপুরে মির্জাপুর ইউনিয়নের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শাহাদত হোসেনকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ১৪ (সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউপি সদস্য মমতাজ আলীকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে শেরপুর উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও হিসাব রক্ষণ কাম কম্পিউটার অপারেটর সমিতি শেরপুর উপজেলার শাখার নেতৃবৃন্দরা। এর আগে ভুক্তভোগী শাহাদত হোসেন ওই ইউপি সদস্য মমতাজ আলীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন।
মানববন্ধনকালে বাংলাদেশ ইউপি সচিব অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন দুলাল, শেরপুর উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, শেরপুর উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ হিসাব কাম কম্পিউটার সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা কমিটি নেতা জহির রায়হান, নুরুন্নবী, তোহা আহমেদ, ফয়সাল হাসান, বিশালপুর ইউপি সচিব নজরুল ইসলাম, খামারকান্দি ইউপি সচিব আবদুস সালাম, মির্জাপুর ইউপি সচিব জিয়াউল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শাহাদত হোসেন গত ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার অফিসের কাজ করতে ছিল। এ সময় একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মমতাজ আলী কম্পিউটার অপারেটর শাহাদত হোসেনকে জন্ম নিবন্ধন করে দিতে বলে। কিন্তু সার্ভার সমস্যা থাকায় ইউপি সদস্যের কাজ না করায় উত্তেজিত হয়ে শাহাদত হোসেনকে মারধর করে এবং অফিসের কাগজপত্র তছনচ করে। এ ঘটনায় ওই হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে ওই রাতেই শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সদস্য মমতাজ আলীর গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন। শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. সানজিদা সুলতানা বলেন, এ-সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।