জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন বলেছেন, জনসচেতনতায় রোধ হয় বাল্যবিবাহ। যারা বয়ষ্ক এবং নেতৃত্বস্থানীয় আছেন তাদের সবার দায়িত্ব এবং সবাই মিলে কাজ করে যাওয়া। সরকারের নিয়োজিত যারা আছেন তাদেরকে আইনের মাধ্যমে বাস্তবায়িত করতে হবে। কিন্তু একটা কথা স্বরণ রাখতে হবে সমাজের ইতিবাচক কাজগুলো শুধু আইন করে হয়না। প্রশাসন কিছুই করতে পারবে না যতক্ষণ আপনারা নিজেরা নিজেদের জন্য এই ইতিবাচক কাজগুলো সবাই মিলে না করবেন।
বৃহস্পতিবারে দুপুরে বেসরকারি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর আয়োজিত বাল্য বিবাহ মুক্ত গ্রাম উদ্যাপন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ মুক্তাগাছার সহযোগিতায় মুক্তাগাছা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বাল্যবিবাহ মুক্ত গ্রাম ঘোষণা ও উদযাপন অনুষ্ঠানে ৯ টি গ্রামকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধান অতিথি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, বাল্যবিবাহ আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত নষ্ট করে দেয়। নারী-শিশুদের স্বাস্থ্য নষ্ট করে দেয়, তাদের জীবনকে ধ্বংস করে দেয়। তাদের ভবিষ্যৎ বলতে কিছুই থাকে না। তিনি বলেন শুধু ৯ টি গ্রাম নয়, সবগুলো গ্রামকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে হবে। এজন্য মূল যে কাজটি হবে তা হচ্ছে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাফিজার রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভূঞা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক সুস্মিতা পাইক, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম লুৎফর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এদিন উপজেলার রুদ্রপুর, ভাবকি, নালিখালী, ঈশ্বর গ্রাম, মিরপুর, হাতিল, আমোদপুর, ঝনকা ও সত্রাশিয়াসহ ৯টি গ্রামকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ প্রচারাভিযান র্যালি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।