সহপাঠীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল জিলা স্কুলের নবম শ্রেনীতে পড়-য়া এক ছাত্রকে ১৫ দিনের জন্য বহিস্কার করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে আবারও র্যাগিং করা হলে অভিযুক্ত ছাত্রকে ছাড়পত্র (টিসি) দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের আবাসিক ছাত্রীনিবাসে র্যাগিংয়ের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার জিলা স্কুলে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। র্যাগিংয়ের শিকার জিলা স্কুলের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র অদ্রি আলম অভিযোগ করে বলেছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ক্লাসে বসে আমার কাছে টাকা চায় সহপাঠী রাফি। এ সময় টাকা নাই বললে, রাফিসহ কয়েকজনে আমাকে প্রথমে চড়থাপ্পড় মারে। এরপর বাঁধা দিলে রাফি আমাকে বেধড়ক মারধর করে। এর আগেও কয়েকদিন রাফি আমাকেসহ অনেক ছাত্রকেই র্যাগিং করেছে। কেউ তার প্রতিবাদ করলে তাদেরকেও মারধর করে রাফি।
অদ্রি আলম আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের মারধর করার বিষয়টি বাবা মাকে জানানোর পর তাদের সহযোগিতায় প্রধানশিক্ষক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অদ্রি আলমের মা বলেন, রাফি আমার ছেলেকে মারধর করেছে। এরআগেও অনেক ছেলেদের সাথেই রাফি র্যাগিং করেছে। তবে রাফির বাবা প্রভাবশালী হওয়ায় আগে স্কুল কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
ভূক্তভোগী অদ্রি আলমের বাবা ফকির বাড়ি রোডের বাসিন্দা বদিউল আলম বলেন, বরিশালের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল। সেখানেও যদি বাচ্চাদের নিরাপদে পাঠদান না করাতে পারি সেটা খুবই দুঃখজনক। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে খুবই অসুস্থ অবস্থায় আছে। আমি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, যেন ভবিষ্যতে আর কোনো শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের শিকার না হয়।
জিলা স্কুলের প্রধানশিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, রাফি নামের ছেলেটি খুবই উচ্ছৃঙ্খল। বৃহস্পবিারের ঘটনায় তাকে ১৫ দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন কাজ করলে তাকে টিসি দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হবে।