সাতক্ষীরার ডিসি ইকো পার্ক ও প্রাণ সায়রের খালের পাড়ে বৃক্ষ রোপন করেছে প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব, সাতক্ষীরা সদস্যরা। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকালে অবস্থিত ডিসি ইকো পার্ক এবং প্রাণ সায়রের খাল পাড়সহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় দুইশত আম, আমড়া, কাঠাল, কুল, তেঁতুল, বকুল, রাধাচুড়া, চন্দন, লেবু, কামরাঙ্গা, আমলকি, পেয়ারা ও তাল গাছের বীজ রোপন ও বিতরণ করা হয়। বৃক্ষ রোপন ও বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির সভাপিত এড. আজাদ হোসেন বেলাল, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের সমন্বয়কারী ও চ্যানেল আইয়ের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ, প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব সাতক্ষীরার সভাপতি এড. মুনির উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ, উপদেষ্টা জ্যোৎস্না দত্ত, ডা. সুব্রত ঘোষ, আহসানুর রহমান রাজিব, আলি নুর খান বাবুল, এসএম বিপ্লব হোসেন, গোলাম সরোয়ার, সাতক্ষীরা ‘ল’ স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি সালাউদ্দীন রানা, মো: ফিরোজ আলী, হুমায়ুন কবির রায়হান প্রমুখ। প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব, সাতক্ষীরার সদস্যরা ‘গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশন এ- ফুসিল ফুয়েলস ফর ক্লাইমেট জাস্টিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাতক্ষীরায় সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, স্বদেশ, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন আয়োজিত প্রাণসায়র খালপাড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। উল্লেখ্য, প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব সারাদেশে গত ৫ মে থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করেছে। সাতক্ষীরায় আবহাওয়াজনিত কারণে নির্ধারিত সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয় গত ২৭ জুন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সাতক্ষীরা কালেকটরেট উদ্যান, জেলা পরিষদ, সাতক্ষীরা ‘ল’ কলেজ, সদর উপজেলার শ্যাল্যে ও চাঁদপুর গ্রামে মুজিব বর্ষের নবনির্মিত ৩৯টি বাড়িতে ৫টি করে, ডিসি ইকোপার্ক, প্রাণসায়র খালসহ বিভিন্নস্থানে পৃথক ১১টি দিবসে বৃক্ষরোপন ও বিতরণ করা হয়। প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব, সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ জানান, সাতক্ষীরা জেলায় আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই কর্মসূচিতে আম, আমড়া, কাঠাল, কুল, তেঁতুল, বকুল, কদবেল, রাধাচুড়া, কৃষ্ণচুড়া, হরতকি, বহেরা, নিম, অর্জুন, চন্দন, লেবু, কামরাঙ্গা, আমলকি, পেয়ারা ও তাল গাছ রোপন করা হয় ৫৮০টি এবং একই সময়ে ৪৭০টি গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ভিন্ন ভিন্ন তারিখে প্রায় চার বস্তা বাবলার বীজ ছড়ানো হয়। যে বীজ থেকে ২৫/৩০ হাজার বাবলা গাছ জন্মাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব, সাতক্ষীরার সভাপতি এড. মুনির উদ্দীন বলেন আমরা বৃক্ষরোপনের পাশাপাশি মানুষকে গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। ১৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ হলেও সাতক্ষীরা ক্লাবের সদস্যরা এই কর্মসূচির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে। এ ছাড়া ইতোমধ্যে রোপনকৃত বৃক্ষগুলি যাতে যথাযথভাবে বেড়ে ওঠে সে ব্যাপারে নিয়মিত খোজখবর নেওয়াসহ তদারকি করবে।