রংপুরের পীরগঞ্জে শরিফুল ইসলামের লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে বাঁচাও পীরগঞ্জের ব্যানারে পীরগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে লায়লা আনতাহার বানু এ্যামিলির সভাপতিত্বে ও মাকছুদার রহমান রবুর সঞ্চালনায় বাচাঁও পীরগঞ্জের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট কাজী লুমুম্বা লুমু, সংবাদদকর্মী সেবু মোস্তাফিজ, ছাত্রনেতা রহমতুল্লাহ রনিসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ জুন পীরগঞ্জের বড়বিলা নামক দর্শনীয় স্থানে বেড়াতে এসে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে সংঘবদ্ধ বখাটে যুবকদের পিটুনিতে প্রাণ হারায় শরিফুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবক। সে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার ফরিদপুর নাকরি গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে। ওই ঘটনায় ২৩ জুন ঘটনায় নিহতের মা আরেফা বেগম বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা রেখে হত্যা মামলা রুজু করেন। মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতা মাহমুদুন্নবী ওরফে রাজু মাস্টারের ছেলে পুলিশ লাইন স্কুল এ- কলেজের এইচএসসি শির্ক্ষাথী মনিরুজ্জামান নিরব (১৯) ৩জন বন্ধুসহ খেদমতপুরের এক বান্ধবি নিয়ে গল্প করছিল। নিহত শরিফুলসহ কয়েকজন পাশ দিয়ে হেঁটে যাবার সময় শীষ দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিরবসহ অপরাপর বন্ধুরা মুঠোফোনে আরও কয়েক বন্ধুকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে ৬/৭জন বন্ধুমিলে শরিফুলকে বেদম প্রহার করলে গুরুত্বর আহত হয়। স্থানীয়রা আশংকাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে নেয়ার পথে সে মারা যায়। এজাহারে বর্ণিত অপরাপর আসামিরা হলেন-৫নং ওয়ার্ড পৌরসভার প্রজাপাড়া গ্রামের পীরগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের এইচএসসি শির্ক্ষাথী রবিউল তালুকদারের ছেলে ছাতিব তালুকদার (২০), ধনশালা উত্তরপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেন ওরফে মনুর ছেলে রংপুর সরকারি কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী নেহাল সরকার (১৯) ও ওসমানপুর থিরারপাড়া গোডাউন মোড়ের রংপুর সরকারি কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী মৃত আলসিয়া আমজাদের ছেলে আলিফ (১৯)। ঘটনার কয়েকদিনের মধ্য আলিফ ঢাকা থেকে র্যাবের হাতে আটক হলেও বাকি আসামীদের গ্রেপ্তার পুলিশ নানা টালবাহানা করে কালক্ষেপন করছে। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামরুজ্জামান জানান, আসামিরা সবাই উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।