আজ ১৯ সেপ্টেম্বর সর্প দংশন প্রতিরোধ সচেতনতা দিবস। প্রতিবছর সর্প দংশনে বাংলাদেশে প্রচুর মানুষ সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার অভাবে মারা যান। আধুনিক এই যুগে বাংলাদেশের মানুষ এখনো সাপের ওঝার শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। অথচ এখন বিষধর সাপে কামড়ানো রোগীদেরকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন ঔষধের দোকানে এন্টি ভেনাম ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। বিষধর যে কোন সাপ কোন ব্যক্তিকে কামড়ালে এই এন্টিভেনাম ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে সাপে কাটা রোগীকে সুস্থ করে তোলা যায়। তাই সর্প দংশন প্রতিরোধ সচেতনতা দিবসে দেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত হবে মান্ধাত্বার আমলের চিকিৎসা ওঝার মাধ্যমে রোগীকে বিষ মুক্ত করার চেষ্টা না করা। সাপে কাটা রোগীকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসতে হবে।
৯ই আগস্ট যশোরের ঝিকরগাছা গদখালীতে সাপের বিষে কামরুজ্জামান (৪৮) নামের এক ফুল চাষির মৃত্যু হয়েছিল। বিকেলে ফুল বাগানে সাপের দংশন করলে স্থানীয় ওঝার কাছে নিয়ে বিষমুক্ত করার চেষ্টা করে। অতঃপর তারা দ্রুত ঝিকরগাছা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তারের চিকিৎসক প্রস্তুতির পূর্বেই তিনি মারা যান।
এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রশিদুল আলম জানান - সর্প দংশন চিকিৎসার জন্য আমাদের এখানে দশটি অ্যান্টিভেনাম আছে। মাসখানেক আগে একজন ফুল চাষী সর্প দংশনে মারা গিয়েছেন। অজ্ঞতার কারণে তারা সর্প দংশনের পর পরই ওঝার কাছে নিয়ে যায়। সেখানে না নিয়ে যদি দ্রুতই হাসপাতালে নিয়ে আসতো তাহলে হয়তো তার মৃত্যু হতো না। এজন্য প্রতিটা মানুষেরই উচিত সাপে কামড়ানো রোগীগুলো দ্রুতই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা। তাহলে হয়তো বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে রক্ষা করা যাবে।