জামালপুরের মেলান্দহে স্কুল ছাত্রী রিথি আক্তার (১৬)’র মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের চরপলিশা তালতলা এলাকার আল মামুনের বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রিথি আক্তার বেতমারী গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর থেকে আল মামুন স্বপরিবারে গা ঢাকা দিয়েছে।
এলাকাবাসি এবং রিথি আক্তারের স্বজনরা জানিয়েছেন, রিথি আক্তার চরপলিশা জাহানারা লতিফ হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সম্পর্কের সূত্রধরে পাশের চরপলিশা গ্রামের আল মামুনের ছেলে গোলাম রাব্বির ও রিথির গোপনে বিয়েও হয়। ছেলের অভিভাবক এই বিয়ে মেনে নিচ্ছিল না। উভয় পক্ষের অভিভাবকরা বসে সমঝোতার ভিত্তিতে ৪ মাস যাবৎ তারা দাম্পত্ব জীবন শুরু করেন। ঘটনার দিন বিকেল ৩/৪টার দিকে রিথি আক্তারের পিত্রালয় থেকে গোলাম রাব্বি মোটরসাইকেলযোগে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপরই রিথি আক্তারকে পরিকল্পিতভাবে মারধর করাকালে মারা যায়। পরে লাশ ফাঁসিতে ঝুলানোর চেষ্টা করেছিল।
ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা জানান-দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সবার আগে আমিসহ স্থানীয়দের নিয়ে দেখি লাশ মাটিতে পড়ে আছে। লাশের শরিরে ফোলা জখমও ছিল। অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন জানান-রিথি আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। তদন্তও চলছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্টের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।