নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় লেঙ্গুড়া খারনৈ সীমান্ত যেন চোরাই স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে। দেদারসে সব ধরনের অবৈধ পন্য নিয়ে যাচ্ছে উপজেলা সদর হয়ে জেলা শহরে। এসব চোরাচালানের নপথ্যে রয়েছে প্রভাবশালী মহল। প্রতিদিন উপজেলার গোবিন্দপুর খারনৈ বাউসাম রোডে দাঁড়ালে দৃশ্যমান প্রমাণিত হবে শত শত মোটরসাইকেল বহনকারী চিনির বস্তা। বিষয়টি নিয়ে বার বার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিং এ উত্থাপিত হলেও কোন আমলে নিচ্ছেন না বিজিবি ও প্রশাসন মহল। যদিও চোরাচালান বন্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্সে, কিন্তু চোরা কি শুনে ধর্মের কাহিনী। এসব চোরাচালান দেখেও না দেখার ভান ধরে বসে থাকেন অনেক সীমান্ত রক্ষিবাহিনী। এই চিনি বস্তার ভেতর ভরে নানা ব্যান্ডের মদ ইয়াবাসহ নিয়ে আসছে। তাছাড়াও গরু থেকে শুরু করে সব ধরনের অবৈধ পণ্য নিয়ে আসছে লেঙ্গুড়া-ফুলবাড়ি কালোপানি চেগ্নী, খারনৈ-গোবিন্দপুর কচুগড়া, রংছাতি-পাচগাও পাতলাবন সীমান্তের জিরো পয়েন্ট দিয়ে। এসব পন্য নিয়ে আসে কখনো প্রশাসনকে মেনেজ করে কখনো প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে। এদিকে প্রকাশ্যে দিবালোকে সদরের কিছু প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্রের হোতা খোচরা পাইকারি বাজারে ছোট ছোট অটো ভরে দোকানে দোকানে পৌঁছে দিচ্ছে বস্তাভর্তি চিনি। এছাড়াও প্রকাশ্যে উপজেলা সদর বাজারের মোড়ে মোড়ে বসে আদিবাসী মহিলারা দেদারসে বিক্রি করছে ভারতীয় আমদানি নানা পন্য। এভাবেই ছমাস ধরে রংছাতি ইউনিয়ন সন্যাসি পাড়ার মোকলেছ, আতিকুল, জাকারিয়া, এছাক, ইসলাম, রাসেল, লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের ফুলবাড়ি মোড়ের মজিদ মিয়া, গফুর, জামাল কালোপানির রবার্ট, খারনৈ ও সদর ইউনিয়নের বিপ্লব, রফিকগণেদের মত অনেক প্রভাবশালী নেতাকর্মী সীমান্ত লাইন ক্লিয়ার করে এই অবৈধ আমদানি চিনিচক্র উৎসবে মেতে উঠেছে। এদিকে পুলিশের ভাষ্য, চোরাচালান বন্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্সে সর্বচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। অন্যদিকে আলোর জগত পত্রিকার মহিলা সাংবাদিক সাহারার মৃত্যুকে সামনে এনে স্থানীয় সচেতন সুশীল মহলের নিরব ভাষ্য, এই চিনি সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন কেন নিরব ভুমিকায়! কেন জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছে না।