ধনাগোদা নদী বেষ্টিত এলাকা চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় মতলব পৌরসভা থাকা সত্ত্বেও একটি ইউনিয়নকে পৃথক আরেকটি পৌরসভা করতে যাচ্ছে শুনে তা বাতিল চেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ছে ইউনিয়নবাসী।
২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রাস্তায় নেমে সাধারণ ভোটাররা জড়ো হয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
স্থানীয় পথচারী শিল্পী বেগম, রুমা বেগম, নুরুল ইসলামসহ আরও অনেকে বলেন, এই ইউনিয়নের ৯০% মানুষই দিনমজুর,কৃষক,শ্রমিক। এখানে শিল্প কলকারখানা কিছুই নেই। তবুও এক প্রকারের জোড়পূর্বক একটি চক্র নানা ইস্যুতে কর আদায়সহ ভ্যাট ট্যাক্স নেয়ার পায়তারায় এই ইউনিয়নকে পৌরসভা করতে উঠে পড়ে লেগেছে। আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই এক উপজেলায় ২ পৌরসভা চাইনা। আমরা ইউনিয়নবাসী হিসেবেই ভালো আছি।
নারায়নপুর ইউনিয়নবাসী থেকে জানা যায়, বিগত ২০১০ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ঘোষিত নারায়ণপুর পৌরসভার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট করেন ইউপি চেয়ারম্যান। সেই রিটে নারায়ণপুর পৌরসভার উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী হয় এবং বন্ধ হয়ে যায় নারায়নপুর পৌরসভার কার্যক্রম। পরে আবারও পৌরসভার পক্ষে ঐ ইউনিয়নের আবু তাহের মিয়াজী, জিলন পাটোয়ারী ও জাকির মজুমদার সরকারের পক্ষে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। সেই রিটে সবশেষ গত ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি নাইমা হায়দার ও রাজিক আল জলিলের যৌথ বেঞ্চে নারায়ণপুর পৌরসভা বহাল রাখার ব্যাপারে রায় দেয়। আর এতেই এই রায় বাতিল চেয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণে রাজপথে নামে ইউনিয়নবাসী।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের নারায়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল মোস্তফা তালুকদার বলেন, মাত্র ২৪টি গ্রাম নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল এলাকা এই নারায়ণপুর ইউনিয়ন। এখানে কৃষি জমি ছাড়া আর তেমন কিছুই নেই। শুধু শুধু করের বোঝা এই ইউনিয়নবাসীর ঘারে চাপাতে কতিপয় লোক এটিকে পৌরসভা করতে উঠেপড়ে লেগেছে। অতছ এই উপজেলায় মতলব পৌরসভা নামে একটি পৌরসভা আগে থেকেই রয়েছে। তাই এখানে আমার কিছু বলার নেই, জনগণ যদি নারায়ণপুর নামে পৌরসভা না চেয়ে ইউনিয়ন পরিচয়ে থাকতে চায় আমি জনগনের পক্ষেই আছি।