বই পড়ার পেছনে সময় ব্যয় ক্রমশ কমছে, এখন মানুষের অবসর ঢুকে গেছে ফেসবুকের নীল দুনিয়ায়, টুইটারের কিচিরমিচিরে, ইনস্টাগ্রাম নামের অনলাইনপল্লিতে। কী বলছে গবেষণা? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কতটা কমিয়ে দিয়েছে আমাদের বই পড়ার অভ্যাস? বুকারজয়ী ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক হাওয়ার্ড জ্যাকবসন কেয়েক বছর আগে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তা ফলতে শুরু করেছে মনেহয়। তিনি বলেছিলেন, কুড়ি বছরের মধ্যেই ফেসবুক, টুইটার শিশুদের মূর্খ বানাবে। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী সত্যিই অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাবে কি না! তার জন্য মানুষকে আরও কিছু বছর অপেক্ষা করতে হবে। তবে ফেসবুক-টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইতোমধ্যে মানুষকে পুরোপুরি বইবিমুখ পরিণত করতে না পারলেও মানুষের বই পড়ার অভ্যাস যে অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে মানুষের মধ্যে বই পড়ার হার ক্রমাগত কমছে। এমনকি সংবাদপত্র পড়ার হারও কমছে। পাঠ্যবইয়ের বাইরে দৈনিক পড়া বলতে তারা ওই টুকটাক সংবাদপত্রই পড়েন। সেটাও পড়েন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই লক্ষ্যটি হতে হবে স্পষ্ট এবং অবশ্যই তার একটি উদ্দেশ্য থাকবে। পড়ার নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকলে তা জীবনের নানা ক্ষেত্রে জানার পরিধি বাড়াতে সহায়তা করতে পারে। যেমন- রাজনীতি, অর্থনীতি, আধ্যাত্মিক জগত, শিক্ষা সংস্কৃতি, কর্মজীবন, সম্পর্ক এমন আরও অনেক কিছু। যখন কারো পড়ার লক্ষ্য আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে তখন সে স্পষ্টভাবে তার উদ্দেশ্য খুঁজে পাবে। আর তখনই পড়ার প্রতি আগ্রহ জন্মাবে, অনুপ্রেরণা বাড়বে পাঠে এগিয়ে যেতে। মানুষকে বই পড়তে অভ্যস্ত করার জন্য বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদ ভবনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সাখাওয়াত হোসেনের ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রইচ সেরনিয়াবাত ব্যতিক কর্মী এক উদ্যোগ নিয়ে ‘জ্ঞানের লাইব্রেরী’ তৈরি করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সাখাওয়াত হোসেনে বলেন, উপজেলা পরিষদ ভবনে বিভিন্ন দপ্তরে তাদের কাজের জন্য আসা জনগণ তাদের কাজ করতে লেট হলে অপেক্ষায় থাকতে হয়। এই সময়টায় তারা টেবিল-চেয়ারে বসে বই পড়ে সময় কাটাতে পারে। একদিকে তাদের সময় কাটবে অন্যদিকে অজানা কিছুজানতে পারবে এবং জ্ঞান অর্জন হবে। এখানে মুক্তিযুদ্ধ, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনী, বিভিন্ন লেখকদের বাই সহ ধর্মিয় বাই রয়েছে। এই বই সকল পেশার মানুষ পড়তে পাড়বে। বই পড়ার জন্য বসার সুব্যবস্থা রয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে ইমামা বানিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহেরা,বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী হাওলাদার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মো.বখতিয়ার আল মামুন বলেন, আমরা ‘জ্ঞানের লাইব্রেরী’ এখানে এসে বাই পড়েছি। বাই পড়ল্ ে‘জ্ঞান বাড়ে। আমারা সময় পেলে এখানে এস বাই পড়ি। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, বই পড়লে কেউ দেয়লিয়া হয়না। বই যতো পড়বে ততো অজানাকে জানতে পাড়বে। তাই আমরা মানুষকে বই পড়ার অভ্যস্ত করারজন্য এই জ্ঞানের লাইব্রেরী তৈরি করেছি।