শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘কেরানি তৈরির শিক্ষাব্যবস্থা স্বাধীন দেশের জন্য শুভকর নয়। যে ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের আছে তা কেরানি পয়দা করার ব্যবস্থা। তারা চেয়েছিল এখান থেকে শুধু কেরানি তৈরি করা হবে। কোনো পরিকল্পনাবিদ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী তৈরির উদ্দেশ্য তাদের ছিল না। কারণ, এতে তাদের ক্ষমতা হারাবার ভয় ছিল। আর ওই শিক্ষাব্যবস্থায় শাসক যা বলবে, কেরানি তাই করবে। তবে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় সেই ধারা থেকে নতুন প্রজন্মকে বের করে আনা হচ্ছে। কোয়ালিটি শিক্ষাব্যবস্থার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর মাদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসায় শিক্ষার উন্নয়নে বর্তমান সরকারের ভূমিকা ও শিক্ষকদের প্রত্যাশা শীর্ষক বিভাগীয় শিক্ষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নতুন শিক্ষাব্যবস্থা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়ন হলে কোচিং নির্ভরতা কমবে। শিক্ষার্থীদের মুখস্থ বিদ্যার ওপর নির্ভরতা কমবে। তবে কোচিং ব্যবসায় ভাঁটা পড়বে এ ভয়ে অনেকে নতুন শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করছে। সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ভিসানীতি নিয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নয়, বিএনপি-ই চাপে আছে। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোটগ্রহণ করতে চায়। তাই বর্তমান সরকার মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কোনো রকমের চাপ অনুভব করছে না। তিনি বলেন, নতুন ভিসানীতি নিয়ে বলা হচ্ছে কেউ যদি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ব্যাহত করে তাহলে তাদের ভিসা দেবে না। সরকারতো স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় এবং সরকার সেটা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের নির্বাচন কমিশনও এমনটা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা এ রকম একটা নির্বাচন করতে এগিয়ে যাচ্ছি। যারা নির্বাচন বানচালের কথা ভাবছে, অরাজকতা সৃষ্টি করার কথা ভাবছে, ভয় পেলে তো তাদেরই পাওয়ার কথা। সরকারের ওপর চাপ থাকবে কেন? মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব কামাল হোসেন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কায়সার আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।