বরগুনায় জমিজমা সংক্রান্ত মামলা তুলে নিতে বাদীকে সন্ত্রাসী হামলাসহ খুন-গুমের হুমকির অভিযোগ উঠছে আসামি পক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাদী খলিলুর রহমান। ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ভাই তুহিন শিকদারসহ পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। খলিলুর রহমান তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের মেনিপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। আর বিবাদী পক্ষের আসামি গোলাম মোস্তফা হাওলাদার, সোহরাফ হোসেন হাওলাদার, সোহেল রানা ও জাহিদ তারাও একই এলাকার বাসিন্দা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খলিলুর রহমান বলেন, নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৪১নং ছোট নিশানবাড়ীয়া মৌজায় ১৯৭নং খতিয়ানে আমার দাদা, বাবা ও ফুফুসহ বিভিন্ন মানুষের ৩১ একর ২৮ শতাংশ ভূমি বৈধ কাগজপত্রের মাধ্যমে আমরা ৭০ বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছি। অতঃপর ওই আসামিরা তাদের ৭ একর জমি বিক্রি করে সম্পূর্ণরূপে নিঃস্ব হয়ে ভূমিহীন হয়ে পরে। তিনি আরও বলেন, আসামিরা বেআইনী ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য আমাদের জমি দখল করে জাল-জালিয়াতি কাগজ সৃষ্টি করে সন্ত্রাসীদের কায়দায় ভূমি দস্যু হিসাবে অন্যায় ভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জমি দখল করার চেষ্টা করলে আমি ও আমার ফুফু সুফিয়া বেগম তালতলী থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে আসামিরা পুলিশের বাধা নিষেধ মানে নাই। তাই উপায়ান্ত না পেয়ে বরগুনা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ২৭ জুলাই একটি মামলা দায়ের করি। মামলাটি বড় বর্গী ভূমি কর্মকর্তার নিকট তদন্ত দিলে তদন্ত প্রতিবেদন সঠিক ও সত্য মর্মে আমাদের পক্ষে দাখিল করেন। এতে বিবাদীরা নিরুপায় হয়ে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী নিয়ে গতকাল রাতে আমাকে একা পেয়ে মেনিপাড়া আঃ হক চৌকিদার বাড়ীর দরজায় বসে মারার জন্য তাড়া করে এবং বলে, মামলা তুলে না নিলে খুন করে গুম করে ফেলবে। আরও বলে, তুই অথবা তোর লোকজন জমিতে প্রবেশ করলে মেরে পঙ্গু ও চক্ষু তুলে ফেলব। মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠাবো। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও অভিযুক্তদের কারো কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, হুমকির অভিযোগ পাইনি। থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।