গত ৬দিন থেকে অবিরাম বর্ষণে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে ভারি বর্ষণের ফলে তিস্তা নদীর পানিও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমে আসলেই আবারো বন্যা হতে পারে। বৃষ্টির পানিতে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় আমন ক্ষেতসহ সবজি ক্ষেত নিয়ে কৃষকরা দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে। সেই সাথে বিপাকে পড়েছে এখানকার শ্রমজীবি মানুষজন। রিকশা চালক, ভ্যানচালক, দিনমজুরসহ কৃষি কাজে নিয়জিত শ্রমিকরা খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হতে পারছেন না। রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, রোববার (২৪সেপ্টেম্বর) উপজেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫৯ মিলিমিটার। এছাড়াও আগামী ২৪ঘন্টায় উপজেলার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাতে সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের পাঠক গ্রামের অটোরিকশা চালক কুদ্দুস বলেন, সারাদিনে মাত্র ৩০০ টাকা ভাড়া মারছি। তা দিয়ে কিস্তি দিয়েছি। বাজার করার কোন টাকা নাই। আজ তো খুব খারাপ অবস্থা। সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। ঘর থেকে মানুষ না বের হলে ভাড়া হয় কেমনে। এমন আর দু দিন থাকলে হামরা গরীব মানুষগুলোর বিপদে পড়বো। ওই ইউনিয়নের বাদশা মিয়া বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি। কাজ কাম বন্ধ। টাকার চিন্তায় কিছু ভালো লাগে না। রাত পোহালে কিস্তি। ঘরে বাজার নাই। খুব দুঃশ্চিন্তায় আছি। এভাবে বৃষ্টি হলে মানুষের চলাফেরা কাজকর্ম সব বন্ধ হয়ে যাবে। রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত দু’দিন ধরে হালকা ও মাঝারী ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। কমপক্ষে আগামী আরও দু-দিন এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।