নাটোরের লালপুর উপজেলায় টিনের ঘরে আগুনে পুড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এময় আহত হয়েছেন বৃদ্ধ এক নারী। মঙ্গলবার রাত নয়টার পর উপজেলার নওপাড়া গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার লালপুর উপজেলায় আগুনে পুড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার বিকেলে নাটোর জেলা বিএনপি অন্যতম সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মরহুম ফজলুর রহমান পটলের সহধর্মিণী অধ্যক্ষ অবঃ কামরুন্নাহার শিরীন এর পক্ষে শোকাহত পরিবারের সার্বিক খোঁজ খবর নেন ও নগদ অর্থ প্রদান করেন লালপুর উপজেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব ও লালপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ পাপ্পু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি তাহমিদুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান খলিল, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, লালপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, লালপুর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মুনছুর রহমান, যুগ্ম-আহ্বায়ক আশিকুর রহমান মুক্তি, লালপুর ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান বাপ্পী, দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আসাদুল ইসলাম, ২নং ঈশ্বরদী ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম রবি, লালপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক
রেজাউল করিম প্রমুখ।
আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া দুজন হলেন শাহানারা বেগম (৩২) ও তাঁর মেয়ে মাইশা খাতুন (৮)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মাইশার নানি ইয়াতুল নেছা (৮৫)।
লালপুরের নওপাড়া গ্রামে পদ্মা নদীর ধারে টিনের ঘরে ইয়াতুল নেছা মেয়ে শাহানারা ও নাতনি মাইশাকে নিয়ে মঙ্গলবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৯টার পরপরই আগুনের উত্তাপ পেয়ে ঘরের বাইরে এসে ইয়াতুল নেছা চিৎকার শুরু করেন। প্রতিবেশীরা এসে আগুন নেভাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ঘুমের মধ্যেই দগ্ধ হয়ে মারা যান শাহানারা। আর নানী ইয়াতুল ঘরের মধ্যে ঢুকে দগ্ধ অবস্থায় নাতনি মাইশাকে উদ্ধার করে আনেন। পরে দগ্ধ মাইশা ও আহত ইয়াতুলকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মাইশার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে মাইশা মারা যায়। ইয়াতুল লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।